গত বুধবার পরিচালিত এক অভিযানে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার পরও স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীকে প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে না। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গাজায় যদি আগ্রাসন বন্ধ না হয়, ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার করা না হলে এবং ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া না হলে ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে না।
এরই মধ্যে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের নিহতের ঘটনায় একটি বার্তা দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী। এতে বলা হয়েছে-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
প্রিয় মুসলিম জাতিগুলো!
এই অঞ্চলের প্রিয় সাহসী যুবকেরা!
বীর মুজাহিদ কমান্ডার ইয়াহিয়া সিনওয়ার তাঁর শহীদ বন্ধুদের কাছে চলে গেছেন। তিনি ছিলেন প্রতিরোধ ও সংগ্রামের এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি। ইয়াহিয়া সিনওয়ার জালিম ও আগ্রাসী শত্রুর বিরুদ্ধে ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি সুপরিকল্পনা ও সাহসিকতার সাথে শত্রুকে চপেটাঘাত করেছেন এবং শত্রুর ওপর ৭ অক্টোবরের (আল-আকসা তুফান অভিযান) অপূরণীয় আঘাতের মাধ্যমে এই অঞ্চলে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। এরপর তিনি সম্মান ও মর্যাদার সাথে শহীদদের মিছিলে যোগ দিতে ঊর্ধ্বগমন করলেন।
দখলদার ও জালিম শত্রুর বিরুদ্ধে সারা জীবন লড়াই করেছেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তাঁর মতো ব্যক্তির জন্য শাহাদাত ভিন্ন অন্য কোনো প্রতিদান উপযুক্ত নয়। ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হারানো প্রতিরোধ ফ্রন্টের জন্য অবশ্যই বেদনাদায়ক, তবে শেখ আহমাদ ইয়াসিন, ফাতি শাকাকি, রানতিসি এবং ইসমাইল হানিয়ার মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শাহাদাতের কারণে প্রতিরোধ ফ্রন্টের অগ্রযাত্রা থেমে যায় নি; আল্লাহর ইচ্ছায়, সিনওয়ারের শাহাদাতেও তা এক মুহুর্তের জন্য থামবে না। হামাস বেঁচে আছে, বেঁচে থাকবে। আল্লাহর সাহায্য ও নির্দেশনায় আমরা বরাবরের মতো ফিলিস্তিনের মুজাহিদ ও একনিষ্ঠ সংগ্রামীদের পাশে থাকব।
আমি আমাদের ভাই ইয়াহিয়া সিনওয়ারের শাহাদাতে তাঁর পরিবার, তাঁর সহযোদ্ধাবৃন্দ ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর প্রতি অনুরক্তদের প্রতি অভিনন্দন এবং তাঁর অনুপস্থিতির জন্য শোক জানাচ্ছি। আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে কমপক্ষে ৪২ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৯৯ হাজার ৫৪৬ জন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.