অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহনকারী একটি ট্রাকে লক্ষ করে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে মেক্সিকান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই ট্রাকটিতে থাকা ৩৩ জন অভিবাসীর মধ্যে ৬ জন নিহত ও আহত হয়েছে অনন্ত ১০ জন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবার) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে।
মেক্সিকোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ট্রাকটি একটি সামরিক প্রহরা বলয়কে এড়িয়ে পালিয়ে যেতে চাইছিল। তখন সেনারা গুলি চালায়। এই অভিবাসীরা মিশর, নেপাল, কিউবা, পাকিস্তান ও ভারত থেকে মেক্সিকো এসেছে। তাদের লক্ষ মেক্সিকো- মার্কিন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নিতে তারা বদ্ধপরিকর। আইন ভাঙলে তারা কাউকে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়।
তবে নিহতরা কে কোন দেশের মানুষ তা এখনও জানা যায়নি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, অভিবাসীদের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। তাই আইনি পথে অভিবাসনের আবেদন করা উচিত। আইনি পথে যাতায়াত করা উচিত। তাহলে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যাবে।
সংবাদ মাধ্যমটি জানাচ্ছে, হুইক্সটলা শহরে এই ঘটনা ঘটেছে। এখান দিয়ে অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যেতে পছন্দ করে। কারণ, এই রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা খুব বেশি থাকে। তার মধ্যে অভিবাসীদের গাড়ি চিহ্নিত করে ধরা সহজ নয়। ওখানকার অপরাধী গোষ্ঠীগুলো যে ধরনের গাড়ি ব্যবহার করে, সেরকমই দুইটি গাড়ি ট্রাকের পিছনে ছিল।
সেনা বাহিনীর দাবি, তারা বিস্ফোরণের শব্দ পায়, তাই তারা গুলি চালিয়েছিল। ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে দুইজনের মৃত্যু হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যে দুইজন সেনা গুলি চালিয়েছিল, তাদের ওই শিবির থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের সামরিক আদালতে বিচার হতে পারে, এ বিষয়ে আইনি ব্যাপারগুলো ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২০২১ সালে মেক্সিকোর ন্যাশনাল গার্ড একই জায়গায় গুলি চালিয়েছিল এবং তাতে একজন অভিবাসীর মৃত্যু হয়।
এদিকে সীমান্তে যাতে বেশি অভিবাসী না আসে, সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকোকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছে। কেননা, অভিবাসীরা মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার চেষ্টা করে। তারা মূলত আর্থিক দুরবস্থা ও সহিংসতার হাত থেকে বাঁচার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চায়। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এখন সেখানে অভিবাসীদের প্রবেশের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
অর্থসূচক/এএকে/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.