ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের ব্যাংক হিসাবে সব ধরনের লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বৈতনিক হিসাব এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না। একই সঙ্গে তাঁদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ব্যাংক হিসাব স্থগিতের এ নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছে।
বিএফআইইউর চিঠিতে হাবিবুর রহমান, তাঁর স্ত্রী ওয়াজেদ শামসুন্নাহার ও তাঁদের পুত্র-কন্যা এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের হিসাবের লেনদেন ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় বিএফআইইউ এই নির্দেশ দেয়। এ ছাড়া তাঁদের নামে কোনো লকার থাকলে তার ব্যবহারও ৩০ দিনের জন্য বন্ধ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
ব্যাংক হিসাব স্থগিতের চিঠিতে হাবিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী ওয়াজেদ শামসুন্নাহারের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁদের ও তাঁদের প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেন বিবরণী বিএফআইইউর কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট গণ-আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর হাবিবুর রহমানকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি। হাবিবুর রহমান পুলিশের প্রভাবশালী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা হিসেবে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। গত ৭ আগস্ট হাবিবুর রহমানকে ডিএমপি কমিশনারের পদ থেকে বদলি করে পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট তাঁকে চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.