অপরাধ করে থাকলে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে করা প্রশ্নের উত্তরে ড. ইউনূস এ কথা বলেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন সরকার প্রধান।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। পরে ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
ভারতে অবস্থান করা হাসিনাকে দেশে ফেরানো হবে কিনা– অনুষ্ঠানে এমন প্রশ্ন করা হয় ড. ইউনূসকে। তখন তিনি বলেন, কেন হবে না! অপরাধ করে থাকলে তাঁকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
এসময় তার নির্বাচন করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়ে দেন, নির্বাচনে দাঁড়ানোর কোনো পরিকল্পনা তার নেই। তিনি বলেন, “আমাকে দেখে কি মনে হয়, আমি নির্বাচনে লড়বো?”
এদিন নিউইয়র্কে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস আয়োজিত ‘ক্লাইমেট ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশ নেন ড. ইউনূস।
সম্মেলনে যোগ দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, বিশ্ব যতদিন পর্যন্ত বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আটকে থাকবে, ততদিন জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি কার্যকর হবে না।
তিনি আর বলেন, এই ব্যবস্থা সর্বাধিক মুনাফাকেন্দ্রিক। এতে মুষ্টিমেয় একদল লোকের জন্য সম্পদ সৃষ্টি করা হয়, অন্যদিকে ব্যাপক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে।
“আমাদের তৈরি করা এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এই পৃথিবী ধ্বংসের মূলে রয়েছে। মানুষ একটি আত্ম-বিনাশী সভ্যতা গড়েছে” – বলেও মন্তব্য করেন ক্ষুদ্রঋণের এই পথিকৃৎ।
ড. ইউনূস বলেন, ধনী দেশগুলোর মাধ্যমে হওয়া জলবায়ুর ক্ষতির বোঝা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর বহন করা উচিত নয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য উন্নত দেশগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আপনারা আমাদের ওপর যেসব ধ্বংসের ভার চাপিয়েছেন, তা কেন আমরা বহন করবো?”
অর্থসূচক/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.