বৈশ্বিক নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর্থিক ও সামরিক প্রতিযোগীতার মধ্যেই প্রশান্ত মহাসাগরে নকল বোমবাহী একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) সফল পরীক্ষা চালিয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেইজিংয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বেইজিংয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিছে, বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৪ মিনিটে আইসিবিএমটি ছোড়া হয় এবং সেটি ‘মহাসাগরের প্রত্যাশিত এলাকায় গিয়ে পড়েছে’।
এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণটি নিয়মিত কার্যক্রমের এবং বার্ষিক প্রশিক্ষণের অংশ বলে জানিয়েছে বেইজিং।
১৯৮০ সালের পর থেকে এই প্রথম দেশটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরীক্ষামূলকভাবে আইসিবিএম ছুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে ১৯৮০-র মে মাসে চীন শেষবার প্রশান্ত মহাসাগরে আইসবিএমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছিল। তখন সেটি ৯ হাজার ৭০ কিলোমিটার উড়ে গিয়ে পড়েছিল।
ওই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সময় চীনের নৌবাহিনীর ১৮টি যুদ্ধজাহাজ যুক্ত ছিল। এটিকে চীনের অন্যতম সবচেয়ে বড় নৌ মিশন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
চীন পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা সাধারণত নিজ দেশের অভ্যন্তরে করে থাকে। এর আগে বেইজিং তাদের আইসিবিএমর পরীক্ষামূলক উৎপক্ষেপণগুলো শিনজিয়াং অঞ্চলের তাকলামাকান মরুভূমিতে করেছিল।
গত বছর এক প্রতিবেদনে পেন্টাগন জানিয়েছিল, তাদের হিসাবে চীনের অস্ত্রভাণ্ডারে ক্ষেপণাস্ত্র যোগে বহনযোগ্য ৫০০ কার্যকর পারমাণবিক বোমা আছে আর এগুলোর মধ্যে প্রায় ৩৫০টি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
২০৩০ সালের মধ্যে চীনের কাছে এক হাজারের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র যোগে বহনযোগ্য পারমাণবিক বোমা থাকতে পারে বলে ওই প্রতিবেদনে ধারণা প্রকাশ করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া, উভয়ের এ ধরনের মারণাস্ত্রের সংখ্যা পাঁচ হাজারেরও বেশি।
অর্থসূচক/ এএকে



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.