ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। হলে তাদের বরাদ্দ করা সিটও বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শিক্ষার্থীরা হলেন- পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন শাহ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের জালাল মিয়া, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের সুমন মিয়া, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আল হোসাইন সাজ্জাদ, গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ওয়াজিবুল আলম, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ কবির ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আবদুস সামাদ।
এর আগে হত্যার দায় স্বীকার করে গতকাল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ছয় শিক্ষার্থী।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তোফাজ্জল হত্যার ঘটনার তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী আট শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শাহ্ মো. মাসুমকে পরিবর্তন করে ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস আল-মামুনকে হলটির নতুন প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে একদল শিক্ষার্থী তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে চোর সন্দেহে কয়েক দফায় নির্যাতন করে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার বাড়ি বরিশালের বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলি ইউনিয়নে। কয়েক বছর ধরে তোফাজ্জল মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলেন। এর আগে তিনি কাঁঠালতলি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.