তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকার আফগানিস্তানে সকল ধরণের পোলিও কার্যক্রম এবং টিকাদান অভিযান স্থগিত করছে। টিকার ক্যাম্পেইন বাতিল করার ফলে বিশ্বব্যাপী পোলিও নির্মূল করা কঠিন হয়ে উঠল। কারণ, আফগানিস্তান হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পোলিও আক্রান্ত এলাকা যেখানে টিকাহীন শিশুরা ভবিষ্যতে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জতিসংঘের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তালেবান সরকার কয়েকদিন আগে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর নির্ধারিত টিকাদান অভিযান বন্ধে স্থগিতাদেশ জারি করে। যদিও আনুষ্ঠানিক কোন কারণ জানন হয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ঘরে ঘরে টিকাদানকে নিরুৎসাহিত করে তালিবান। এর পরিবর্তে মসজিদের মতো জায়গায় টিকা দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে আগ্রহ দেখায়।
তালেবান সরকারের প্রতিনিধিরা তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই নি।
আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান বিশ্বের এমন দুটি দেশ যেখানে প্যারালাইজিং (পোলিও) এবং সম্ভাব্য মারাত্মক রোগের বিস্তার নির্মূল করা সম্ভব হয় নি।
আফগানিস্তানে পোলিও নির্মূল কর্মসূচীর ক্রমাগত প্রচেষ্টা সত্বেও সফল হতে পারেনি। পোলিও মুক্তির মর্যাদা অর্জনের প্রচেষ্টায় শেষ পর্যায়ে এসে নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।
তালেবান ক্ষমতা দখলের পর গত ৩ বছরে দেশটির পোলিও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ভাইরাসটি এখন এমন সব প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে যেগুলো দীর্ঘদিন পোলিও মুক্ত ছিল।
ইউনিসেফ, জনস্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় (এমওপিএইচ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং বিভিন্ন বেসরকালি সহযোগী সংস্থা প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে উদ্ভাবনী পদ্ধতিগুলি অন্বেষণ করে ইমার্জেন্সি অপারেটিং সেন্টার (ইওসি) এর মাধ্যমে কাজ করছিল। সকলকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা তাদের অন্যতম লক্ষ।
তবে তালেবানের বর্তমান স্থগিতাদেশ ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা যোগ করেছে। দেশে পোলিও নির্মূলে চলমান লড়াই নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
অর্থসূচক/ এএকে



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.