বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সরকারি আবাসিক ভবন গণভবনকে জাদুঘর করার প্রস্তাব দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ফেসবুক লাইভে এ তথ্য জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
আজকের ‘শহীদী মার্চ’ প্রসঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফেসবুক লাইভে কথা বলেন এই সমন্বয়ক। লাইভের এক পর্যায়ে ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা গণভবনকে একটি জাদুঘর করার জন্য প্রস্তাব দেব।’
২০২৪ এর আন্দোলন নিয়ে একটি জাদুঘরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যে গণভবনটি ছিল, যেখানে ফ্যাসিজমের আখড়া হয়েছিল। আমরা দেখেছি যে, আগে সবাই গণভবনমুখি হয়ে থাকতো। আমরা দেখেছি, কারও ডিভোর্স হয়েছে, সেও গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। পূর্বাচলে কারও প্লট লাগবে, সেও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। পঞ্চগড়ে কারও একটা ব্যক্তিগত সমস্যা, সেও প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। অর্থাৎ এই গণভবনটাই ছিল ফ্যাসিজমের একটা আখড়া। এই গণভবনকে স্থায়ীভাবে একটি জাদুঘর করার জন্য আমরা প্রস্তাব করবো এবং সেটা নিশ্চিত করতে চাই।
এর আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও গণভবনের জায়গায় ‘গণহত্যা মিউজিয়াম’ তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত ১ সেপ্টেম্বর দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ষড়যন্ত্র কিংবা অপপ্রচার চালিয়ে গত ১৫ বছরের অনাচার অবিচার জনগণকে ভুলিয়ে দেওয়া যাবে না। রাষ্ট্রীয় স্থাপনা গণভবন ছিল বা দেশের রাষ্ট্র ও রাজনীতির ঐতিহ্যবাহী স্মারক। গণভবন বা বর্তমানে স্বৈরাচারী হাসিনার দুর্নীতি দুঃশাসন, অনাচার, অপকর্মের প্রতীক। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মহল থেকে এই গণভবনকে গুম খুন অপহরণ এবং গণহত্যার মিউজিয়াম হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবি উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানে শহীদ এবং গুম হওয়া মানুষদের স্মৃতিগুলো এই মিউজিয়ামে সংরক্ষিত থাকবে। অবৈধ ক্ষমতায় থাকার জন্য বাংলাদেশে আর কোনো শাসক যাতে হাসিনার মতো বর্বরোচিত পথ অনুসরণ না করে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই মিউজিয়াম সেই বার্তাই বহন করবে।
অর্থসূচক/এএকে/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.