চাপেও অনড় নেতানিয়াহু

গাজা থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর শোকাহত ইসরায়েলিরা বাকি বন্দিদের মুক্তির জন্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতে রোববার ও সোমবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে৷ যদিও জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে কোনো ছাড় না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷ এ মন্তব্যের পর গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে৷

এদিকে ইসরায়েলে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পর এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, হামাসের সঙ্গে চলা পরোক্ষ আলোচনায় যুদ্ধ অবসানের দাবি মানতে চাপের কাছে নতিস্বীকার করবেন না৷ ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধ এখন এর প্রায় এক বছরের কাছাকাছি সময় ধরে চলছে৷

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক মাইরাভ জোনসাইন বলেছেন, নেতানিয়াহুর মন্তব্যে বোঝা গেছে -যতক্ষণ না হামাস আত্মসমর্পণ করে, তিনি যুদ্ধ বন্ধ করবেন না… এবং তিনি মূলত ঘোষণা করেছেন যে জিম্মি চুক্তি হবে না৷

নেতানিয়াহু দাবি করেন, ‘এই খুনিরা আমাদের জিম্মিদের মধ্যে ছয় জনকে হত্যা করেছে৷’ যদিও নিজের রাজনৈতিক লাভের জন্য যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করার অভিযোগ রয়েছে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে৷

এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করতে কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে সোমবার দেখা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ এরপর সাংবাদিকেরা তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, নেতানিয়াহু জিম্মি চুক্তি সুরক্ষিত করার জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছেন কিনা৷ উত্তরে বাইডেন বলেন, ‘না’৷

ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোট টিকিয়ে রাখার জন্য নেতানিয়াহুকে নির্ভর করতে হচ্ছে যুদ্ধবিরতির বিরোধিতাকারী ডানপন্থিদের সমর্থনের ওপর৷ নেতানিয়াহু অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি যুদ্ধবিরতি চান, বরং হামাসই কোনো ছাড় দিতে চাচ্ছে না৷

নেতানিয়াহু আবার ‘হামাসের উপর সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যুদ্ধের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য গাজা-মিশর সীমান্তে অবস্থিত ফিলাডেলফি করিডোরের নিয়ন্ত্রণ নেয়া প্রয়োজন৷

সোমবার ইসরায়েলে কিছু অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করার কথা জানিয়েছে ব্রিটেন৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের গুরুতর লঙ্ঘনে এসব অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে এমন ‘স্পষ্ট ঝুঁকি’ থাকার কথা উল্লেখ করেছে দেশটি৷ সূত্র: ডিডাব্লিউ, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.