গত ২০ বছরে বিশ্বের ১২টি দেশে বিভিন্ন এনজিও ও কম্যুনিটি ভিত্তিক সংস্থা কর্তৃক গৃহীত শিশুদের জন্য অর্ধশতাধীক মানবিক প্রকল্পে সহায়তা প্রদান করেছে এমিরেটস ফাউন্ডেশন। এ সকল প্রকল্পের মাধ্যমে হাজার হাজার শিশুর জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়েছে।
শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসন, খাদ্য ও মেডিক্যাল সেবা, শিক্ষা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শিশুদের ক্ষমতায়ন ইত্যাদি প্রকল্পে সহায়তা করেছে ফাউন্ডেশন। এমিরেটস ফ্লাইটগুলোতে বা অনলাইনে যাত্রী, ডোনার এবং নিজস্ব এমপ্লয়ীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অনুদান এসকল মানবিক প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে।
ফাউন্ডেশনটির মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এমিরেটস এয়ারলাইন সম্প্রতি তাদের একটি দ্বিতল এয়ারবাস এ৩৮০ কে নতুন লিভেরীতে সজ্জিত করেছে। বর্নিল এই লিভেরীতে স্থান পেয়েছে এমিরেটস এয়ারলাইন ফাউন্ডেশনের লোগোর বিভিন্ন এলিমেন্ট, শিশুদের অংকিত আর্টওয়ার্কের থীম এবং ফাউন্ডেশনের মূল বার্তা ‘শিশুদের প্রয়োজনে সহায়তায় এগিয়ে আসুন’।
এমিরেটস এয়ারলাইন ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক দাতব্য সংস্থা, যার মূল লক্ষ্য হলো শিশুদের মানবিক সহায়তা ও অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্রদান এবং এর মাধ্যমে সমাজে অর্থপূর্ণ ও টেকসই অবদান নিশ্চিত করা। ফাউন্ডেশনের সহায়তা প্রাপ্ত প্রকল্পগুলো মূলত এয়ারলাইনটির নেটওয়ার্কভূক্ত বিভিন্ন গন্তব্যে পরিচালিত হচ্ছে। এর মূল কারন হলো এমিরেটসের স্বেচ্ছাসেবী এমপ্লয়ীরা যাতে এই প্রকল্পগুলোর তত্ত্বাবধান করতে পারেন। বর্তমানে, ৯টি দেশের ১৪টি এনজিওকে সহায়তা প্রদান করছে ফাউন্ডেশনটি।
বাংলাদেশের একটি এনজিও ফ্রেন্ডশীপের সঙ্গে যৌথভাবে একটি ভাসমান হাসপাতাল ‘এমিরেটস ফ্রেন্ডশীপ হসপিটাল’ পরিচালনা করছে ফাউন্ডেশনটি। দেশের দূর্গম এলাকায় গত ১০ বছরে এই ভাসমান হাসপাতালটি থেকে দরিদ্র পীড়িত সাড়ে ছয় লক্ষাধীক মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে।
অর্থসূচক/ এইচএআই



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.