শান্তকে হারালো বাংলাদেশ

চতুর্থ দিন পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট করে ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। ওপেনারদের দৃঢ়তায় বিনা উইকেটে ৪২ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

দিন শুরু হওয়ার তৃতীয় ওভারেই দলীয় ৫০ রানে পৌঁছায় বাংলাদেশ। এ দিন কিছুটা সতর্ক ভঙ্গিমায় খেলছিলেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম এবং জাকির হাসান। ইনিংসে ১০ম ওভারে সাফল্য পেয়েও গিয়েছিল পাকিস্তান।

মোহাম্মদ আলীর বলে জাকিরের ব্যাটের নিচের অংশ ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদের হাতে। আম্পায়ার আউট দেননি। পাকিস্তানের কোনো ক্রিকেটার বুঝতে না পারায় আবেদনও করেননি।

তবে বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি জাকির। আগের দিন ২৩ বলে ৩১ রান করা এই ব্যাটার এ দিন ৩৯ বলে ৪০ রানে থেমেছেন। ১৩তম ওভারে মির হামজার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড হওয়ার আগে তিনটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন জাকির। দলীয় ৫৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর সাদমানকে আউট করার সুযোগ তৈরি করেছিলেন মীর হামজা। তার ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে ব্যা ফুট পাঞ্চ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলেছিলেন বাংলাদেশের এই ব্যাটার। তবে সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি সালমান আঘা। অবশ্য পরের ওভারেই খুররম শেহজাদের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের এই ওপেনার।

পাকিস্তানের এই পেসারের পিচড আপ ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অফে শান মাসুদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। এরপর কোনো বিপর্যয় ছাড়াই বাংলাদেশকে দলীয় একশতে নিয়ে যান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। তাদের জুটিও পঞ্চাশ পেরিয়ে যায়। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ৮০ তোলে। যদিও হারায় ২ উইকেট। বাংলাদেশ ২ উইকেটে ১২২ রান নিয়ে প্রথম সেশনের খেলা শেষ করে।

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই অধিনায়ক শান্তর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩৮ রান করে তিনি আঘা সালমানের বলে গালিতে ক্যাচ দেন আব্দুল্লাহ শফিকের হাতে। শান্ত মূলত ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন। তবে বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় গালিতে থাকা ফিল্ডারের হাতে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.