ক্ষেপণাস্ত্র ও ৪০টি যুদ্ধবিমান কিনতে চায় ফিলিপাইন

মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং উন্নত যুদ্ধবিমান কিনতে চায় ফিলিপাইন। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুজন উচ্চপদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।

সামরিক বাহিনীর প্রধান রোমিও ব্রাওনার জানান, অন্তত ৩৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে সামরিক আধুনিকায়নের পরিকল্পনা করছে দেশটি। খবর রয়টার্স।

ব্রাওনার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা নতুন অস্ত্র ব্যবস্থা, বিশেষ করে মাঝারি পাল্লার ক্ষমতাসম্পন্ন অস্ত্র পেতে চাই। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডার স্যামুয়েল পাপারো। উত্তরাঞ্চলীয় শহর বাগিওতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা সচিব গিলবার্তো টিওডোরো জানিয়েছেন, ফিলিপাইন নতুন অস্ত্র কেনার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব মূল্যায়ন করছে। এর মধ্যে রয়েছে ৪০টি যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা, যা দেশটির সামরিক বাহিনীর বহিরাগত প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন আগামী বছর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় যৌথ সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যা চীনের ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক মনোভাবের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা উত্তর ফিলিপাইনে সামরিক মহড়ার সময় মোতায়েন করা হয়। যদিও ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষা করা হয়নি, তবে ৪০ টন ওজনের এই অস্ত্র ব্যবস্থাটি আকাশপথে পরিবহনের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করতে নিয়ে আসা হয়েছিল।

ফিলিপাইন চীন সাগরে বেইজিংয়ের সঙ্গে নিয়মিত সংঘাতের সম্মুখীন হচ্ছে। তাই ফিলিপাইন সামরিক বাহিনীর বাহ্যিক প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অন্তত ১.৮৯৪ ট্রিলিয়ন পেসো (৩৩.৭৪ বিলিয়ন ডলার) ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে।

তবে টিওডোরো জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র প্রক্রিয়া গোপন রয়েছে এবং কোন দেশ বা মডেলের যুদ্ধবিমান কেনা হবে, তা এখনই প্রকাশ করা হবে না।

তিনি আরও জানান, আমরা অন্যান্য প্রতিরোধমূলক সক্ষমতায়ও বিনিয়োগ করছি, যা শুধু বহুমুখী যুদ্ধবিমান নয়।

যুদ্ধবিমানগুলো কিনতে ফিলিপাইন সরকার ৩০০ থেকে ৪০০ বিলিয়ন পেসো (৫.৩ থেকে ৭.১ বিলিয়ন ডলার) খরচ করতে পারে। এজন্য সরকার যুক্তিসংগত অর্থায়ন প্রকল্প বিবেচনা করছে, যার মধ্যে রয়েছে বেসরকারি ঋণদাতাদের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ।

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.