ফের আলোচনায় এসেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। বিএনপি নিয়ে কখনোই খারাপ কিছু বলেননি জানিয়ে তিনি বলেন, আমার ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময়ের আমি কখনোই রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো কাজ করিনি, আমার কোনো ব্যাংক লোন নাই। আমি কোনো অপকর্ম করিনি।
প্রায় এক দশক আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের তালিকায় সাংস্কৃতিক অঙ্গনের চিত্রনায়ক জায়েদ খান, উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় ও অভিনেতা সাজু খাদেম রয়েছেন। জায়েদ জানান, গণমাধ্যমে গতকালই খবরটি জেনেছেন।
জায়েদ খান বললেন, ‘আমি বিস্মিত, আমি হতবাক। মিথ্যা মামলায় আমাকে জড়ানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
মামলা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেকোনো শিল্পীর রাজনৈতিক মত থাকতেই পারে। এটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু আমি কখনোই অতিরঞ্জিত বা বিতর্কিত কোনো কিছু করিনি। কিন্তু গতকাল দেখলাম, আমার নামে মামলা। ৯ বছর আগের আমি নাকি হত্যাচেষ্টায় গাড়ি ভাঙচুর করেছি। সেই সময়ে তো শত শত সাংবাদিক ছিলেন, এটা নিয়ে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। যদি থাকতাম, তাহলে তো তখনই খবরের শিরোনাম হতাম। এখন ঢালাওভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে শিল্পীদের নামে মামলা আমি সমর্থন করি না।’
জায়েদ জানান, দেশের একটি পরিবর্তন এসেছে। সেখানে সবাই স্বাধীনভাবে বাঁচতে চাইবে। সবার নাগরিক অধিকার থাকবে। দেশ এগিয়ে যাবে। কিন্তু উদ্দেশ্য হাসিলে কারও ক্যারিয়ারে বাধা হলে, শিল্পাঙ্গন কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। জায়েদ বলেন, ‘ঢালাওভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে সত্যিকারের অনেক অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে। আমাদের টেনে ধরার জন্য এই মামলা। আমি হলফ করে বলতে পারি, কোনো মিছিল–মিটিংয়ে কোনো দিন ছিলাম না। দেশের ক্ষতি হয়, রাষ্ট্রদ্রোহী কোনো কাজ করিনি। সেগুলো যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে আমার নামে মামলা করতে পারেন। আমি ক্ষতি করে থাকলে তার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দিলে স্বাধীনতার প্রতি আস্থা থাকবে না।’
এর আগে দুই মেয়াদে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন জায়েদ খান। ২০২২ সালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তাঁর বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নিপুণ আক্তার। সেই নির্বাচনে জায়েদ ভোটে জিতলেও ফলাফল নিপুণ মেনে না নিলে কোর্টে মামলা করেন। হেরে যান জায়েদ। চলে মামলা–মোকদ্দমা। তখনই আলোচনায় আসেন জায়েদ। পরবর্তী সময় কখনো বিয়ে, কখনো নারী নিয়ে মন্তব্য করে, কখনো ডিগবাজি দিয়ে ভাইরাল হতে থাকেন তিনি। ট্রলেরও শিকার হয়েছেন এই সমালোচিত নায়ক।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.