গাজায় ইসরাইলের ৭০০ সেনা নিহত

চলমান গাজা যুদ্ধে ইসরাইলি বাহিনীর আরও দু’জন সেনার হতাহত হওয়ার খবর দিয়েছে। হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরাইলি বাহিনীর ২০২ ব্রিগেডের এক সেনা নিহত ও অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছে।

এর ফলে তেল আবিবের ঘোষণা অনুযায়ী, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত ইসরাইলি সেনার সংখ্যা ৭০০ জনে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে ৩৩৭ জন নিহত হয়েছে গাজায় স্থল আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এই উপত্যকায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পাল্টা হামলায়।

উল্লেখ্য, ইসরাইলি সেনারা গাজায় হামাস যোদ্ধাদের হামলায় তাদের হতাহতের যে সংখ্যা প্রকাশ করেছে তাদের প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। ইসরাইলি বাহিনী এর মাধ্যমে গাজায় নিজেদের পরাজয় ঢেকে রাখতে চায়। সেইসঙ্গে ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের পক্ষ থেকে দখলদার সেনারা যে রাজনৈতিক চাপের মুখে রয়েছে তা হ্রাস করাও এই লুকোচুরি খেলার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

ইসরাইল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের নিরপরাধ ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যা শুরু করে।

গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ইসরাইলি গণহত্যার শিকার হয়ে এ পর্যন্ত অন্তত ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত ও ৯২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতের উল্লেখযোগ্য অংশই হচ্ছে নারী ও শিশু।

১৯১৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদের অভিবাসনের মাধ্যমে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অবৈধ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যা এবং তাদের গোটা ভূখণ্ড দখল করার জন্য বিভিন্ন সময়ে অসংখ্য গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইল। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.