আর্থিক খাতের আলোচিত নাম চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খানের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের স্ত্রী ও পুত্র-কন্যাদের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ব্যাংক হিসাব স্থগিতের এ নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছে।
বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তি ও তাঁদের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেই হিসাবের লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ২৩ (১) (গ) ধারার আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। এ ছাড়া তাঁদের নামে কোনো লকার সুবিধা থাকলে তার ব্যবহারও ৩০ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে।
সাবেক ব্যাংকার চৌধুরী নাফিজ সরাফাত পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান রেইসের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত। এ ছাড়া তিনি মোবাইল টাওয়ার কোম্পানি, বিদ্যুৎ কোম্পানি, তারকা হোটেল ব্যবসা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, গণমাধ্যমসহ নানা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।
নাঈমুল ইসলাম খান দেশের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের একজন। গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। আর নাফিস সরাফত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিল। এ ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি আর্থিক খাতের ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়ে উঠেন। সেই ক্ষমতা ব্যবহার করে বিপুল অর্থের বিত্তের মালিক হন তিনি।
জুলাইয়ে কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর সাবেক সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন। সেই সঙ্গে অনেক মন্ত্রী-এমপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগ-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হচ্ছে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.