রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে এক কয়াদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সকাল থেকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কারাগারের ভেতর থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছে। আজ শুক্রবার বেলা ১টা থেকে ভেতরে গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর দফায় দফায় কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
বিপুল পরিমাণ সেনাসদস্য ভেতরে প্রবেশ করেছেন। তবে কারাগারের ভেতরে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
কারা সংশ্লিষ্টজন ও স্থানীয়রা বলছেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাহারুল বাদশা নামের এক কয়েদির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কারাগারে থাকা কয়েদিরা হট্টগোল শুরু করেন। একপর্যায়ে কয়েদিরা কারাগার থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে ১ নম্বর জেলে কারারক্ষীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়।
এরপর খবর পেয়ে মহানগর পুলিশের টিম সেখানে আসে এবং টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে সেনাবাহিনীর দল ছুটে আসে। তাৎক্ষণিক তারা পুরো কারাগার এলাকায় ঘিরে ফেলে এবং ভেতরে প্রবেশ করে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কারাগারের ভেতরের গাছ থেকে আমড়া পেড়ে খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’জন কয়েদির মধ্যে ঝগড়া বাধে। এই দুই কয়েদি হলেন বাহার ও রফিকুল। বিবাদের একপর্যায়ে রফিকুল বাহারকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। কারাগারের নার্স এসে বাহারের শরীরের পালস পাচ্ছিলেন না। তাকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক বাহারকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আরও বলেন, কয়েদির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরে কারাগারের ভেতরের কয়েদিরা প্রধান ফটক ধাক্কাধাক্কি করার চেষ্টা করলে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন।
অর্থসূচক/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.