বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন। এবিষয়ে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর আজ (১০ আগস্ট) প্রথম সচিবালয়ে এসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদটি সংবেদনশীল। তিনি পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন এটি ঠিক। এই বিষয়ে এখনই কিছু বলছি না। আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, অর্থনীতিকে যত দ্রুত সম্ভব গতিশীল করাই অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, “বিভিন্ন কারণেই দেশে অর্থনীতি শ্লথ হয়ে পড়েছে। আমাদের লক্ষ্য হবে অর্থনীতিকে যত দ্রুত সম্ভব গতিশীল করা। কারণ অর্থনীতি স্তব্ধ হয়ে গেলে সেটা চালু হওয়া বেশ কঠিন। আমরা অর্থনীতিকে স্তব্ধ হতে দিতে চাই না।”
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থনীতিতে নানান ধরনের সমস্যা রয়েছে। ব্যাংককের সমস্যা রয়েছে, মূল্যস্ফীতি সমস্যা রয়েছে। আরো অনেক অনেক ধরনের জটিলতা রয়েছে। সবক্ষেত্রেই কাজ করতে হবে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “দেশের ক্রান্তিকালে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ সময় শুধু আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নয়, ব্যাংক খোলা, বন্দর চালু করাসহ অন্য সবকিছুই সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।”
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। নতুন সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা হিসেবে ৯ আগস্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.