জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের কাজের জন্য আমদানি করা পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। এমন প্রতিষ্ঠান আছে ৩৩টি। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আরেকটি প্রতিষ্ঠান যোগ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির নাম হলো ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেস।
শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) শুল্ক বিভাগ। এ ধরনের শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি, অফিস যন্ত্রপাতিসহ প্রায় সব ধরনের পণ্য ও সেবা আনা যায়।
জানা গেছে, ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেস ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও দীর্ঘদিন বাংলাদেশে এর কোনো কার্যক্রম ছিল না। ২০২২ সাল থেকে জাতিসংঘের এই সহযোগী প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। এখন শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় আনা হলো এই প্রতিষ্ঠানকে।
জাতিসংঘের কনভেনশন অন দ্য প্রিভিলেজেস অ্যান্ড ইমিউনিটিস অব স্পেশালাইজড এজেন্সিসের আওতায় এ ধরনের শুল্ক সুবিধা দেওয়া হয়। এ তালিকায় আছে, ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ, ইউএনএইচসিআর, ইউএনপিএফ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) ইত্যাদি।
সংস্থাটি বলেছে, সব মিলে বিশ্বের ১৪ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে প্রবাসী আয়ের সঙ্গে যুক্ত; যাদের মধ্যে কেউ পাঠাচ্ছে, আবার কেউ গ্রহণ করছে।
বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, মোট প্রবাসী আয়ের ৬০ থেকে ৯৫ শতাংশ নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোয় যায়। অর্থাৎ ৪০টি ধনী দেশে কাজ করে শ্রমিকেরা অন্তত ১২৫টি দেশে পরিবার ও স্বজনের কাছে প্রবাসী আয় পাঠান। বাংলাদেশসহ এসব দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রবাসী আয়ের বড় ভূমিকা আছে।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.