রাশিয়ার কাছে আরও দুটি গ্রামের দখল হারাল ইউক্রেন

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নতুন অস্ত্রের চালানে ইউক্রেন কিছুটা বলিয়ান হলেও থেমে নেই রাশিয়ার ষাঁড়াশি আক্রমণ। বরং এর মধ্যেও রাশিয়ার কাছে একের পর এক এলাকা হারাচ্ছে ইউক্রেন। এই দেশটির আরও দুটি এলাকায় দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এমন দাবি করেছে রাশিয়া।

এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আভদিভকা ও পিসচেইন গ্রামের সম্পূর্ণ দখলে নিয়েছে তাদের সেনাবাহিনী। দখল করা ইউক্রেনের সম্মুখভাগের দুটি গ্রামের দূরত্ব মস্কো থেকে ২০ কিলোমিটারের কম বলে দাবি করেছে রাশিয়া।

এদিকে রোববার সম্মুখযুদ্ধের সময় হামলায় পাঁচজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত ও দুজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ।

রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মস্কোর নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ইউক্রেনের হামলায় চারজন প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া কিয়েভের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ৩৭ বছর বয়সী এজনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের জন্য শিগগির ২.৩ বিলিয়ন ডলারের একটি নতুন সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এ কথা জানান। এ সময় ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্য পদের বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন তিনি।

ইউক্রেনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে আপস করতে এবং যুদ্ধ শেষ করার জন্য কোনো আপস করতে রাজি নয় কিয়েভ।

তবে দেশটির প্রধান মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দারুণভাবে চিন্তিত জেলেনেস্কি প্রশাসন। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনালন্ড ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেছে। দলের ভেতর থেকে প্রবল বিরোধিতার মুখে সরে দাঁড়ান ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি তার রানিংমেট তথা ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত কমলা হ্যারিসও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে দলটির চূড়ান্ত মনোনয়ন পাবেন কি না তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে। প্রার্থী সংক্রান্ত এই জটিলতায় ইতোমধ্যে রেসে বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে ডেমোক্রেটরা। তাতে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা বাড়ছে। আর ট্রাম্প জয়ী হলে তা হলে ইউক্রেনের জন্য একটি বড় আঘাত। কারণ রাশিয়া ও পুতিনের প্রতি বন্ধু ভাবাপন্ন ট্রাম্প ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি জয়ী হলে ইউক্রেনকে আর এত সামরিক সহায়তা দেবেন না। আর মার্কিন সহায়তা ছাড়া কোনোভাবেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারবে না দেশটি।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.