দুর্যোগ মোকাবেলা ও ব্যবস্থাপনায় প্রতি জেলায় প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেস্পন্স টিম বা স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করতে যাচ্ছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। সেই সঙ্গে প্রতিটি জেলা চেম্বারে তৈরি করা হচ্ছে সেইফটি সেল।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে এফবিসিসিআই‘র মতিঝিল কার্যালয়ে ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অ্যাসেসমেন্ট টুল অ্যান্ড প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন শীর্ষক এক কর্মশালায় একথা জানানো হয়।
সেইফটি সেলের মাধ্যমে প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেস্পন্স টিম পরিচালতি হবে। উক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল জেলা প্রশাসনের অধীনে দুর্যোগ আইন, এসওডি এবং স্বেচ্ছাসেবক গাইডলাইন অনুসরন করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টারের (এডিপিসি) সহযোগিতায় দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করেছে এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিল।
কর্মশালায় গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আবদুল ওয়াদুদ, এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস কাউন্সিলেরের (এডিপিসি) টেকনিক্যাল লিড ড. মোনা সি. আনন্দ।
কর্মশালায় সকলকে স্বাগতম জানিয়ে এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় দেশের বেসরকারি খাতের কর্ণধার হিসেবে এফবিসিসিআই এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আজকের এই কর্মশালা পরিচালিত হলো। একটি ফলপ্রসূ পিইআরটি গাইডলাইন তৈরির স্বার্থে নিজ নিজ সংস্থা ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে সকলকে যথাপোযুক্ত পরামর্শ ও মতামত প্রদানের আহ্বান জানান মো. আমিন হেলালী।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আবদুল ওয়াদুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত দুর্যোগ রোধ করা যাবে না, তবে আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রস্তুতি রাখতে হবে। জরুরী মুহুর্তে বা দুর্যোগের সময় কে কি দায়িত্ব পালন করবে সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ি কাজ করতে হবে।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ। তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমাদের আগে থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। বেসরকারি খাতকে এ বিষয়ে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
এ সময়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ঝুঁকি হ্রাসে বেসরকারি খাতের নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস কাউন্সিলেরের (এডিপিসি) টেকনিক্যাল লিড ড. মোনা সি. আনন্দ। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিলের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
এফবিসিসিআই’র পরিচালক এবং এফবিসিসিআই ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির সহ-আহ্বায়ক মো. নিয়াজ আলী চিশতি বলেন, প্রাথমিকভাবে এই কার্যক্রম কুড়িগ্রাম, বাগেরহাট ও বান্দরবন জেলা চেম্বারে অনুষ্ঠিত হবে। এর কার্যকরিতা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে অন্যান্য জেলা চেম্বারেও কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মো. আলমগীর, এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ, বিভিন্ন সংস্থা ও বাণিজ্যিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এবং অন্যান্যরা।
অর্থসূচক/ এইচএআই



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.