ইসরাইলি সেনারা গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে যে ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছে তাতে কয়েকজন ইসরাইলি পণবন্দি নিহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে।
হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা বলেছেন, শনিবার ইসরাইলি সেনারা বড় ধরনের আগ্রাসন চালিয়ে কার্যকরভাবে তাদের পণবন্দিদের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। ইসরাইলি বাহিনীর এ ধরনের অভিযানে সবার আগে যাদের জীবন বিপন্ন হয় তারা হলো পণবন্দি।
দখলদার সেনারা শনিবার গাজার দেইরাল বালাহ ও নুসেইরাত এলাকায় ভয়াবহ তাণ্ডব চালায়। তাদের গণহত্যামূলক অভিযানে নিরপরাধ নারী ও শিশুসহ অন্তত ২১০ ফিলিস্তিনি নিহত ও চার শতাধিক মানুষ আহত হয়।
ইসরাইলি সেনা মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি ওই গণহত্যাকে ‘জটিল অভিযান’ নামে অভিহিত করলেও হামাসের সামরিক মুখপাত্র আবু উবাদয়া একে ‘জটিল যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ইহুদিবাদী শত্রু ভয়ঙ্কর গণহত্যা চালিয়ে তাদের কয়েকজন পণবন্দিকে উদ্ধার করতে পারলেও একই সময়ে তারা তাদের কয়েকজনকে হত্যা করেছে।
এর আগে একজন হামাস কর্মকর্তা ওই পাশবিক হামলাকে ‘সামরিক’ ব্যর্থতা বলে অভিহিত করেন। সামি আবু জুহরি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, নয় মাসের বন্দিদশার পর চারজন পণবন্দিকে উদ্ধার করা কোনো অর্জন হতে পারে না বরং তা ব্যর্থতা। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.