রাজধানীর গুলশানের বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে কাওসার আহমেদ নামে এক পুলিশ সদস্যের গুলিতে মনিরুল নামের একজন কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালকও।
শনিবার (৮ জুন) দিনগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টা পর অভিযুক্ত কাউসারকে আটক করা হয়।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমাদের এক কনস্টেবল আরেক কনস্টেবলকে গুলি করেছে। আর দূতাবাসের ওই গাড়িচালককে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে, এখনই তার নাম বলতে পারছি না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গুলি নিক্ষেপকারী মানসিক বিকারগ্রস্ত। তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
এদিকে গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গুলশান কূটনৈতিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে পুলিশ সদস্য। আমরা খবর পাওয়া মাত্র ঊর্ধ্বতনরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। কিন্তু সেখানে ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটিসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। যতটুকু শুনেছি, গুলি ছোড়া কনস্টেবল মানসিকভাবে বিকারগস্ত। বাকিটা তদন্তে বের হয়ে আসবে।’
এদিকে পুলিশ সদস্যদের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনার পর থেকে কূটনীতিক এলাকায় (ডিপ্লোম্যাটিক জোন) নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুরো এলাকা নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ছেয়ে ফেলেছে পুলিশ। বারিধারা এলাকায় যে কেউ প্রবেশ করতে গেলে তাকে ব্যাপক তল্লাশি করা হচ্ছে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.