‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শিরোনামে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশ শুরু হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক ও কর হ্রাসের প্রস্তাবনা করা হয়েছে।
দেশে আনুমানিক প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ কোনো না কোনোভাবে কিডনি রোগে ভুগছেন। যদিও তাদের মধ্যে সব রোগীর ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয় না, তবে যারা ডায়ালাইসিস নেন প্রস্তাবিত নতুন বাজেটে তাদের জন্য সুখবর দেওয়া হয়েছে। ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত দুটি অত্যাবশ্যকীয় উপকরণের আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে কিডনি ডায়ালাইসিসের খরচ কমতে যাচ্ছে।
বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার প্রদান করে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ বলেন, ‘কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত হয় দুটি অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ হচ্ছে ডায়ালাইসিস ফিল্টার ও ডায়ালাইসিস সার্কিট। পণ্য দুটির আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১ শতাংশ নির্ধারণ করার সুপারিশ করছি।’
আজ বাজেট উপস্থাপনের পর নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সংসদ সদস্যরা আলোচনা করবেন। এরপর আগামী ৩০ জুন প্রস্তাবিত বাজেট পাশ হবে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট এটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের শেষ বাজেট এটি। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর এটি প্রথম বাজেট। স্বাধীনতা-পরবর্তী ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন ওই বাজেট পেশ হয়। তাজউদ্দীন আহমদ ওই দিন একই সঙ্গে ১৯৭১-৭২ ও ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর, অর্থাৎ দুই অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। এরপর আরও দুবার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ, সেটি সবশেষ দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকার। ১৩ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার বাজেট দিয়েছেন সদস্য প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও এম সাইফুর রহমান। দুজনেই ১২টি বাজেট উত্থাপন করেছেন। তবে আবুল মাল আবদুল মুহিতই আওয়ামী লীগের হয়ে টানা ১০ বার বাজেট পেশ করেছেন। তিনি প্রথম বাজেট দেন ১৯৮২-৮৩ সালে, এরশাদের শাসনামলে। সেটার আকার ছিল ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.