দুই বছর ধরে দেশের ব্যাংকগুলো বড় যে সমস্যায় ভুগছে, তা হলো ডলারের সংকট। ২০২২ সালের শুরুতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়েই জ্বালানি ও ভোগ্যপণ্য মূল্য এবং পরিবহন ভাড়া বেড়ে যায়। দেশে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় ২০২২ সালের মার্চ-এপ্রিল সময়ে শুরু হয় ডলার–সংকট। বাংলাদেশ ব্যাংক দীর্ঘ সময় ধরে ডলার নিয়ে চালিয়েছে পরীক্ষা- নিরীক্ষা। তবে ডলারের বাজারের অস্থিরত একটুও কমেনি। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে ডলার সংকট কাটাতে বিদেশি বিনিয়োগ টানার আভাস দেওয়া হয়েছে।
অর্থনীতির অস্থিরতার সময়ে নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যেই আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেটের প্রস্তাব সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে নিজের প্রথম বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। যেটি হবে আওয়ামী লীগ সরকারের ২৪তম বাজেট।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করায় কাজ করা হবে। পাশাপাশি রপ্তানিমুখী শিল্পকে সহয়তা প্রদান ও বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় করা হবে।
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।
এ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেওয়া হবে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। সরকার বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেবে ৯৫ লাখ ১০০ কোটি টাকা। বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.