আবারও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো মিয়ানমার। তার সঙ্গে কাঁপলো প্রতিবেশী বাংলাদেশও। রোববার (২ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩৪ মিনিটে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে এ ভূকম্পন অনুভূত হয়।
ভারতের জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্রের (এনসিএস) তথ্যমতে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৫। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিজোরামের এনগোপা শহর থেকে ১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১০ কিলোমিটার গভীরে।
অবশ্য মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) হিসাব বলছে, মিয়ানমারের মওলাইক শহরের দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির মাত্রা ৪ দশমিক ৮ ছিল।
মিয়ানমারে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির প্রভাব বাংলাদেশের রাঙামাটি, বান্দরবান, চট্টগ্রামেও অনুভূত হয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার (২৯ মে) মাত্র ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে তিনবার ভূমিকম্পে কেঁপেছিল বাংলাদেশের দুই সীমান্তবর্তী দেশ ভারত ও মিয়ানমার। এর মধ্যে মিয়ানমারে আঘাত হানে দুটি ভূকম্পন, আর ভারতে একটি।
এনসিএসের তথ্যমতে, ২৯ মে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে প্রথমবার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ২। বাংলাদেশের সিলেট সীমান্ত থেকে এই অঞ্চলটি খুব বেশি দূরে নয়।
এর কয়েক মিনিট পরেই ভূকম্পন অনুভূত হয় ভারতের হিমাচল প্রদেশে। লাহৌল ও স্পিতি অঞ্চলে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ১।
একই দিন সন্ধ্যায় মিয়ানমারে আঘাত হানে আরও একটি ভূমিকম্প। প্রথমটি মৃদু হলেও বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৩ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটি ছিল মাঝারি মাত্রার। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। বাংলাদেশ এবং ভারতেও অনুভূত হয় এই ভূমিকম্পের প্রভাব।
অর্থসূচক/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.