টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুটা ধ্বংসাত্মকভাবেই করল যুক্তরাষ্ট্র। অ্যারন জোনসের ব্যাটে কানাডার ছুঁড়ে দেয়া ১৯৫ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করল দলটি। এই বিশ্বকাপে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের গ্রুপেই আছে ভারত-পাকিস্তান। কানাডাকে হারিয়ে তাদের প্রতিও বার্তা দিলো যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু সাফল্য পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বকাপের ঠিক আগমুহূর্তে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে দলটি। এবার কানাডার বিপক্ষেও বেশ সাবলীল দেখা গেল দলটিকে। শেষ ১৫০ রান তুলতে দলটি খেলেছে মাত্র ৫৮ বল।
ম্যাচটিতে চারে নেমে চারটি চার ও দশটি ছক্কায় ৯৪ রান করেন অ্যারন জোনস। তার সঙ্গে ৪৬ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন অ্যান্ড্রিস গাউস। এই দুজন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তোলেন ১৩১ রান। এই জুটিতেই ম্যাচ জয়ের ভিত গড়ে দলটি। বিশেষ করে জোনসের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে কোনো আইসিসি সহযোগী সদস্য দেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ করে দলটি। যুক্তরাষ্ট্র এই সংগ্রহ গড়ার ঘণ্টা দুয়েক আগে অবশ্য কানাডা রেকর্ডটি ভাঙে। যদিও কানাডার দেয়া লক্ষ্য অতিক্রম করায় রেকর্ডবুকে সবার উপরে নাম থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের।
যুক্তরাষ্ট্রকে জেতানো জোনস বলেন, ‘আমার মনে হয় না, এখন কিছু বলা সহজ হবে। আমরা জানতাম কানাডা আমাদের বিপক্ষে উঠেপড়ে নামবে। কেননা আমাদের দ্বৈরথ অনেক বড়। দলকে জেতাতে পেরে দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। আমাদের যে ব্যাটিং লাইনআপ, আমরা জানতাম দুইশ’র নিচে যেকোনো কিছুই অতিক্রম করা যাবে। আউটফিল্ড এবং উইকেট যথেষ্ট ভালো। আমরা সেটা জানতাম। আমি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চলার চেষ্টা করি, আমার পাওয়ার হিটিংয়ে ভরসা রাখি। আমি জানতাম মাঝখানে নামলে আমি ভালো খেলব। দল যখন চাপে থাকে তখনই আমি ব্যাটিংয়ে নামতে চাই। কেননা এটা আমার সেরাটা নিয়ে আসে।’
এমন সাফল্যের পর মোনাঙ্ক বলেন, ‘আমরা যেভাবে খেলে এসেছি, সেভাবেই খেলতে চাই। আমরা আমাদের আগ্রাসী ঘরানার ক্রিকেট পরিবর্তন করতে চাই না… এমনকি পাকিস্তান বা ভারতের বিপক্ষেও না।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.