ভারতে লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেষ পর্বে সাতটি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ৫৭টি আসনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৯০৭ জন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ভাগ্যপরীক্ষা’ হবে এ দফার নির্বাচনেই। এ নিয়ে তৃতীয় বার উত্তরপ্রদেশের বারাণসী আসনে ভোটে লড়ছেন তিনি।
এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফা ভোট চলাকালে নিজস্ব ‘এক্সিট পোল’ ঘোষণা করেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশো (পিকে)। এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করলেন, ২০১৯ সালে বিজেপি যে আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, চব্বিশেও সেই আসন কমার বিশেষ সম্ভাবনা নেই। উনিশের মতো এবারেও অন্তত ৩০৩ আসন পাবে গেরুয়া শিবির। কিছু বেশিও হতে পারে।
এক সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, আমার হিসাব অনুযায়ী বিজেপি আগের বারের সমান আসন পেয়েই ক্ষমতায় ফিরছে। হয়তো সামান্য বেশি কিছু আসন পেতে পারে। পশ্চিম বা উত্তর ভারতে বিজেপির আসন সংখ্যায় খুব বেশি হেরফের হবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতে এবার গেরুয়া শিবির বাড়তি সমর্থন পাচ্ছে।
দিন কয়েক আগেই প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন, এক দশকে প্রথমবার বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে ‘ব্র্যান্ড মোদি’। স্রেফ প্রধানমন্ত্রীর মুখ দেখে আর ভোট দিচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। বরং সরকারের বিরুদ্ধে চরম অসন্তোষ রয়েছে। যদিও একই সঙ্গে তিনি বলছেন, এত কিছুর পরও ২০২৪-এ মোদির ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে সংশয় নেই। ৪০০ আসনের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও শ’তিনেক আসন বিজেপি ঠিকই পাবে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের দাবি- লোকসভা নির্বাচনে ২৯৫ টিরও বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে ইন্ডিয়া জোট। তার মতে, বিজেপি জোট সর্বোচ্চ ২৩৫ আসন পেতে পারে।
তবে, নির্বাচনে কে জয়ী হবে- তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ৪ জুন পর্যন্ত। কারণ ওই দিনই ফলাফল ঘোষণা করবে ভারতের নির্বাচন কমিশন। পার্সটুডে
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.