প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হচ্ছেন নাঈমুল ইসলাম খান

দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের এমিরেটাস এডিটর নাঈমুল ইসলাম খানকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। গত ২৮ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে চুক্তি ভিত্তিক এই নিয়োগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে একটি চিঠি পাঠানো হয়।

ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন করেছে। এখন শুধু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারির মতো আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে। সেটিও আগামী ২/৩ জারি হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র অনুসারে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, সচিব পদমর্যাদায় নাঈমুল ইসলাম খানের নিয়োগের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছে।

গত ১০ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম হেলাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা মারা যান। তারপর থেকেই পদটি শূন্য রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য প্রেস সচিব হিসেবে নানাজনের নাম শোনা গেছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠির মধ্য দিয়ে সে জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটল।

নাঈমুল ইসলাম খান একজন খ্যাতনামা সাংবাদিক ও সফল সম্পাদক। তার হাত ধরে বেশ কয়েকটি নতুন ধারার দৈনিক পত্রিকা বাজারে আসে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে সদ্য বিলুপ্ত আজকের কাগজ। তিনি ১৯৯০ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত এ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । ১৯৯২ সালে তিনি দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক হন।

১৯৯২ সালে ভোরের কাগজে থেকে পদত্যাগ করার পর তিনি বাংলাদেশ ‘সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট, জার্নালিজম অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিসিডিজিসি)’ নামে একটি সংগঠন পরিচালনা করেন। ২০০২ সালে তিনি উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ আজকের কাগজে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৭ সালে তিনি ‘দৈনিক আমাদের সময়’ সম্পাদনা শুরু করেন। পরে তিনি ‘আমাদের নতুন সময়’, ‘দৈনিক আমাদের অর্থনীতি’সহ বেশ কয়েকটি পত্রিকা পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

নাঈমুল ইসলাম খান টেলিভিশন টক শো’র অতি পরিচিত মুখ। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন টক শোতে তাকে কট্টর সরকার সমর্থক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে স্পর্শকাতর বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন। তার কোনো কোনো যুক্তি ও বক্তব্যকে অনেকে একেবারে খেলো, একপেশে বলে সমালোচনা করেছে।

টকশোতে তার এই ‘লড়াকো ভূমিকা’র কারণে সরকার তাকে বড়ভাবে পুরস্কৃত করতে পারে বলে অনেক দিন ধরে জল্পনাকল্পনা ছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদার পদে নিয়োগ পেয়েছেন।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.