তুরস্কের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে চলছে স্টার্টআপ ও কমিশনিং কার্যক্রম

রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভের নেতৃত্বে একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধি দল সম্প্রতি তুরস্কে নির্মানাধীন আকুইয়ু পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। প্রধান নির্বাহী আনাস্তাসিয়া জ্যোতিয়েভাসহ প্রকল্পের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে রসাটম প্রতিনিধি দল।

আকুইয়ু এনপিপি’র প্রথম ইউনিটের নির্মানে অগ্রগতি সম্পর্কে নিজস্ব মন্তব্যে আলেক্সি লিখাচেভ বলেন, “চলতি বছরেই আমরা প্রাইমারী সার্কিটসহ সকল সিস্টেমের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা নিরীক্ষা, হাইড্রোলিক টেস্ট পরিচালনা এবং রিয়্যাক্টরের অভ্যন্তরে জ্বালানী সিম্যুলেটর লোড করবো। আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি যাতে আকুইয়ু এনপিপি’র প্রথম ইউনিট আগামী বছরেই তুরস্কের এনার্জী সিস্টেমের অংশ হতে পারে”।

আকুইয়ু এনপিপি সাইটে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ এগিয়ে চলছে। বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যেই স্পেন্ট ফুয়েল পুল এর হাইড্রোলিক টেস্ট সম্পন্ন করেছে। রিয়্যাক্টর কুল্যান্ট পাম্পের বৈদ্যুতিক মটরের সংযোজনের কাজ চলছে। রিয়্যাক্টর ভবনের দৃঢ়তাও নির্ভরযোগ্যতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির লক্ষ্যে শীঘ্রই কন্টেইনমেন্ট প্রি-স্ট্রেসিং সিস্টেমের বিশেষ কাজ হাতে নেয়া হবে।

জ্বালানী সংরক্ষণ ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রথম ধাপের কাজ স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। ভবিষ্যতের জন্য নির্মানাধীন অপারেশনাল ওয়ার্কশপের কাজ প্রায় সমাপ্তির দিকে। কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, স্টীম সাপ্লাই ব্যবস্থা এবং থার্মাল কম্যুনিকেশন্সের কাজও খুব শীঘ্রই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আকুইয়ু এনপিপি তুরস্কের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। কেন্দ্রটিতে চারটি বিদ্যুৎ ইউনিট স্থাপিত হচ্ছে। প্রতি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ১,২০০ মেগা-ওয়াট। বিদ্যুতকেন্দ্রটিতে ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর ব্যবহার করা হবে। বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেও একই রিয়্যাক্টর বসানো হয়েছে। বিশ্বের পরমাণু শিল্পে প্রথমবারের মতো বিল্ড-ওন-অপারেট (ইঙঙ) মডেলে বাস্তবায়িত হচ্ছে আকুইয়ু এনপিপি।

 

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.