চৈত্রের শেষ দিনে গরমের দাপটে নাভিশ্বাস 

সাধারণত চৈত্রে গরমের দাপট শুরু হয়। এবারও তা–ই হয়েছে। তাপমাত্রা বেশি। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। রাজধানীসহ অনেক জেলায় বইছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত বছরের চেয়ে এবার পুরো বছরজুড়ে তাপমাত্রা বেশি থাকবে। এর মধ্যে এপ্রিলে গরমের তীব্রতা পৌঁছাতে পারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ছয় বিভাগ থেকে তাপপ্রবাহ আট বিভাগের ওপরই ছড়িয়ে পড়তে পারে। আগামীকাল রোববার ও এর পরদিন সোমবারও এই তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে।

দেশের কোথাও গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টি হয়নি; বরং ছয় বিভাগে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটিতে, ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তারপরই ছিল চট্টগ্রাম বিভাগের সীতাকুণ্ডে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার, ফেনী, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ এবং ঢাকা বিভাগের ফরিদপুরে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, তাপপ্রবাহের এই প্রবণতা দেখা দিয়েছে এপ্রিলের শুরু থেকেই। এখন যে তাপপ্রবাহ চলছে, তা আরও দুই দিন থাকবে। তারপর ১৬ ও ১৭ এপ্রিল তাপপ্রবাহ সামান্য কমতে পারে। তারপর আবার তাপপ্রবাহ বইতে থাকবে।

তাপপ্রবাহের মূল কারণ সূর্যের অবস্থান জানিয়ে এ কে এম নাজমুল হক বলেন, উত্তর গোলার্ধ বা পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থান করে সূর্য তাপ দিচ্ছে।

বাংলাদেশ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, গুজরাটসহ ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলজুড়ে এই তাপপ্রবাহ রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় গরমে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এবছর তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাসকে বছরের উষ্ণতম সময় ধরা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসেই সাধারণত তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বিচারে গাছ কাটা, জলাশয় ভরাট করা, এসির অত্যধিক ব্যবহারের কারণে রাজধানীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের গত কয়েকদিনের পূর্বাভাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.