শুরুতে রংপুরকে চেপে ধরলেও সেখান থেকে নুরুল-সাকিবদের টেনে নিয়ে গেছেন জিমি নিশাম। মুশফিক হাসানদের ওপর ঝড় তুলে রংপুরকে এনে দিয়েছেন ১৮৫ রানের পুঁজি। নিউজিল্যান্ডের নিশাম অপরাজিত ছিলেন ৯৭ রানের ইনিংস খেলে। বড় লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। ফজল হক ফারুকির বলে টপ এজ হয়ে ফেরেন সুনিল নারিন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটার ফেরার পর তিনে নেমে লিটনকে সঙ্গ দিতে থাকেন হৃদয়। শুধু সঙ্গই দেননি রংপুরের বোলারদের নাভিঃশ্বাস তুলে ফেলেছিলেন তরুণ এই ব্যাটার। লিটন নিজেও কম যাননি। হাফ সেঞ্চুরির পর হৃদয় ফেরেন ৬৪ রানের ইনিংস খেলে। লিটন অবশ্য করেছেন ৮৩ রান। তারা দুজনে মিলে গড়েন ১৪৩ রানের অনবদ্য জুটি। সেটিই অবশ্য কুমিল্লাকে জয় এনে দিয়েছে।
ম্যাচসেরা হয়ে লিটন জানালেন, নন স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে হৃদয়ের ব্যাটিং দেখতেই ভালো লাগছিল। কুমিল্লার অধিনায়ক নিজেদের জুটি নিয়ে বলেন, ‘আমার জীবনে তো সেরা…এমন কখনো হয়নি যে এত ভালো পার্টনারসহ ব্যাটিং করেছি। যেভাবে সে ব্যাটিং করেছে, সেটা অসাধারণ। নন-স্ট্রাইক থেকে দেখতে ভালো লাগছিল। তার থেকে বড় জিনিস, একজন পার্টনারের কাজ হচ্ছে আরেক পার্টনারকে রিলিফ করে দেওয়া। আমার মনে হয় সে আমাকে পুরো রিলিফ করে দিয়েছে খেলাটা বড় করার জন্য।’
এর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসানের সঙ্গেও দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন লিটন। ১৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি করে বাংলাদেশকে জয়ও এনে দিয়েছিলেন তিনি। কুমিল্লার অধিনায়ক বলেন, ‘দেখুন, সেটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্লাস ৫০ ওভারের খেলা। এটা টি-টোয়েন্টি। অবশ্যই সেটা আমার জীবনের প্রথম বিশ্বকাপের ম্যাচ ছিল, সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে সেটাও অন্য রকম ছিল। কিন্তু এটাও আলাদা। সংস্করণটা আলাদা তো, এই জন্য আমি বললাম। টি-টোয়েন্টিতে পার্টনারসহ আমি এ রকম ইনিংস খেলিনি। সাধারণত আমরা টি-টোয়েন্টিতে বড় বড় রান তাড়া করি না। সেদিক থেকে অন্যতম সেরা বলতে পারেন। দুজনই বাংলাদেশি। দুজনই জাতীয় দলের খেলোয়াড়। আশা করি যেন আমরা এটা ধারাবাহিকভাবে করতে পারি।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.