ইয়েমেনে আবারও হুতিদের পরিকাঠামো লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাজ্যের প্রশাসন। হুতিদের বিরুদ্ধে এটি তাদের অষ্টম আক্রমণ বলে পেন্টাগন জানিয়েছে। সপ্তাহখানেক ধরে হুতিদের বিরুদ্ধে লাগাতার এই আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষাসচিব জানিয়েছেন, ইয়েমেনে হুতি অধ্যুষিত অঞ্চলে একের পর এক আক্রমণ চালানো হয়েছে। হুতিদের একটি সুড়ঙ্গে আক্রমণ চালানো হয়েছে। যেখানে তারা অস্ত্র জমিয়ে রেখে ছিল। এছাড়াও তাদের মজুত করা মিসাইল এবং সামরিক পরিকাঠামোয় আক্রমণ চালানো হয়েছে।
বিবৃতিতে পেন্টাগন বলেছে, এখনো লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজের উপর নিয়মিত আক্রমণ চালাচ্ছে হুতি বিদ্রোহীরা। সে কারণেই তাদের অস্ত্রসম্ভার ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। হুতিদের বিরুদ্ধে এটি অষ্টম আক্রমণ বলে পেন্টাগন জানিয়েছে।
আমেরিকা জানিয়েছে, সোমবারের আক্রমণ সমর্থন করেছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, বাহরিন এবং নেদারল্যান্ডস।
সোমবার বিকেলে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিন থেকে লাগাতার মিসাইল ছোঁড়ে বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে ইয়েমেনে হুতি অধ্যুষিত অঞ্চলে যুদ্ধবিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয় বলেও জানানো হয়েছে। হুতি নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী সানা এবং পার্শ্ববর্তী একাধিক প্রভিন্স।
এদিকে ইউরোপাীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলাদা আলাদা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলছেন। সোমবার কথা বলেছেন পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইসরায়েলকে দুই-দেশ নীতি গ্রহণ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, রাজনৈতিকভাবে ফিলিস্তিনের অবস্থান মেনে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বস্তুত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় সমস্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীই এ বিষয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করবেন। পাশাপাশি ফিলিস্তিনের নেতাদের সঙ্গেও তারা বৈঠক করবেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী অবশ্য এখনো নিজের অবস্থানে অনড়। এখনো ফিলিস্তিনের সার্বভৈমত্ব স্বীকার করতে তিনি নারাজ।
৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েল থেকে শতাধিক সেনাসহ বেসামরিককে বন্দি করে নিয়ে গেছিল। তাদের একটি অংশকে মুক্তি দেওয়া হলেও এখনো অনেকেই বন্দি। সোমবার ইসরায়েলের পার্লামেন্টে একটি বৈঠক চলাকালীন সেখানে পণবন্দিদের পরিবারগুলি হাজির হয়। তারা সেখানে বিক্ষোভ দেখান। তাদের অভিযোগ, পার্লামেন্টে বসে বৈঠক করার সময় এটা নয়, দ্রুত পণবন্দিদের মুক্ত করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হোক। বস্তুত, রোববার জেরুজালেমে তারা একটি অস্থায়ী মঞ্চও তৈরি করেছে। সেখানে বসে লাগাতার বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি, এএফপি
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.