আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শেয়ার অনুপাতে পরিচালক হতে পারবে বিদেশিরা

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় থাকা শেয়ারের অনুপাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক পরিচালক হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

সার্কুলারে বলা হয়, কোনো ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক পর্ষদে বিদেশি শেয়ারহোল্ডারগণের সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা অর্থাৎ পরিচালকের সংখ্যা উক্ত কোম্পানিতে তাদের ধারণকৃত শেয়ার অনুপাতে নির্ধারিত হবে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বা পরিবার বা তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ পক্ষ পরোক্ষা ও প্রত্যক্ষভাবে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক হতে পারেন একটি এনবিএফআইতে যেকোনো সময়ে। এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ দুই জন পরিচালক হওয়ার সুযোগ রাখা হয় আইনে।

কিন্তু আইনে শেয়ার ধারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বেলায় এই সীমা রাখা হয়নি। সর্বোচ্চ সীমা কতো হবে তা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করতে পারবে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ২০২৩ অনুযায়ী, কোনো প্রতিষ্ঠানে দুই জন স্বতন্ত্রসহ সর্বোচ্চ ১৫ জন পরিচালক হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

আইনের ১৫ নং ধারার ১(ক) অনুযায়ী, শতকরা ৫(পাঁচ) ভাগের অধিক শেয়ারের অধিকারী হইলে উক্ত পরিবারের সদস্যগনের মধ্য হইতে অনধিক দুই জন পরিচালক থাকিতে পারিবেন; এবং (খ) ন্যূনতম শতকরা দুই ভাগ হইতে শতকরা পাঁচ ভাগ শেয়ারের অধিকারী হইলে উক্ত পরিবারের সদস্যগণের মধ্যে হইতে একজন পরিচালক থাকিতে পারিবেন।

তবে শর্ত থাকে যে, বিদেশি শেয়ারহোল্ডার কর্তৃক শেয়ার ধারনের বিপরীতে পরিচালক সংখ্যা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধরণ করবে। আইনি অধিকার বলে, বিদেশি শেয়ারধারকদের পরিচালক সংখ্যা র্নিধারণের প্রক্রিয়া জানিয়ে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

আর্থিক প্রতিষ্টান আইনে, একজন পরিচালকের মেয়াদ তিন বছর রেখে সর্বোচ্চ এক টানা ৯ বছর পরিচালক থাকার সুযোগ রাখা হয়।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.