গত কয়েক বছরে যেখানেই সুযোগ পেয়েছেন ব্যাটে-বলে ব্যর্থ হয়েছেন সৌম্য সরকার। হুটহাট জাতীয় দলে সুযোগ পেলেও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে উল্লেখযোগ্য কোনো পারফরম্যান্স না থাকার পর তাকে নিউজিল্যান্ড সফরের দলে রেখেছেন বাংলাদেশ দলের নির্বাচকরা। এ কারণেও তাদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মূল সিরিজের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে ৫৬ বলে ৫৯ রান করে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সিরিজের প্রথম ওয়ানডে বল হাতে ৬ ওভারে ৬৩ আর ব্যাট হাতে শূন্য রান করে জাতীয় দলে নিজের জায়গাটাকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। অবশেষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিজের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে ১৫১ বলে ১৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন সৌম্য। তার ২ ছক্কা ও ২২ চারের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ ২৯১ রানের বড় পুঁজি পেয়েছে।
বাংলাদেশের দেয়া বড় লক্ষ্যের জবাবে দেখেশুনে শুরু করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাতখুলে খেলেছেন রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং। প্রথম পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের বোলাররা কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেননি। উল্টো কিউই দুই ওপেনার চড়াও হয়েছেন বাংলাদেশের বোলারদের ওপর। বিনা উইকেটে তারা প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৬১ রান তুলে নিয়েছে। অবশ্য এর খানিক পরেই হাসান মাহমুদের করা শর্ট পিচ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৩৩ বলে ৪৫ রান করা রাচিন।
রাচিন ফেরার পর ইয়াংয়ের সঙ্গে সঙ্গে হাল ধরেন হেনরি নিকোলস। দুজনের জুটি খুব দ্রুতই পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যায়। ব্যক্তিগত ৭৭ রানে ইয়াংয়ের ক্যাচ মিস করেন তাওহীদ হৃদয়। শরিফুলের ওভারে অফ সাইডের বাইরে করা বলে এক্সট্রা কভারে ড্রাইভ দেন ইয়াং। বাম দিকে ঝাপিয়ে অসাধারণ এক প্রচেষ্টায় বলটি ধরে ফেলেন হৃদয়, যদিও সেটিকে তালুবন্দী করতে পারেননি তিনি। কনুই মাটি স্পর্শ করার সময় ছুটে যায় বল। ফলে ৭৭ রানে জীবন পেয়ে যান সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা ইয়াং।
ব্যক্তিগত ৮৩ রানে থাকা অবস্থায় মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আবারও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ইয়াং। দেখতে দেখতে একশ রানের জুটি ছুঁয়ে ফেলেন ইয়াং এবং নিকোলস। ৬৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন নিকোলস। এই দুজনের ১২৮ রানের জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। ৯৪ বলে দুই ছক্কা ও আট চারে ৮৯ রান করেন ইয়াং। সহজ ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ইয়াংকে বিদায় করে হাসান।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.