এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ৯৭ ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গাজায় নিহত হওয়া সর্বশেষ সাংবাদিক হলেন আদেল জোরোব।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে নিহত ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সংখ্যা ৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।
গাজার কোনো স্থানই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে রক্ষা পায়নি। সেখানকার স্কুল, কলেজ এমনকি হাসপাতাল ও মসজিদেও হামলা চালানো হয়েছে।
গাজা সরকারের মিডিয়া অফিসের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ইসরায়েলি সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবেই সত্যকে মুছে ফেলার লক্ষ্যেই ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের হত্যা করছে। গাজায় বিমান হামলার পাশাপাশি সমানতালে স্থল অভিযানও চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে সেখানে অবরোধও আরোপ করা হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ইসরায়েলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ১৯ হাজার ৪৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৫২ হাজারের বেশি মানুষ।
এদিকে গাজার একটি হাসপাতালকে সামরিক ব্যারাক বানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানকার লোকজনকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলের আল আওদা হাসপাতালের পরিস্থিতি সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য দিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদ্রা।
তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী ওই হাসপাতালকে সামরিক ব্যারাকে পরিণত করেছে। তারা ২৪০ জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে ৮০ জন মেডিকেল স্টাফ, ৪০ জন রোগী এবং ১২০ জন বাস্ত্যুচুত ফিলিস্তিনি নাগরিক। ওই হাসপাতালের পরিচালক আহমেদ মুহান্নাসহ ৬ জন স্টাফকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
অর্থসূচক/ এইচএআই
 
			
 
						

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.