গাজা যুদ্ধের মধ্যেই নেতানিয়াহুর দুর্নীতির বিচার শুরু

আবারও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিচার শুরু হয়েছে। চলমান গাজা যুদ্ধের কারণে যখন ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অবস্থা অনেকটা টালমাটাল তখন তার মধ্যেই এই বিচার শুরু হলো।

সোমবার অধিকৃত আল-কুদস বা জেরুজালেম শহরের একটি আদালতে মামলার শুনানি শুরু হয়। ঘুষ গ্রহণ, প্রতারণা এবং বিশ্বাসভঙ্গের মামলায় নেতা নিয়াহুর বিরুদ্ধে আদালতে বিচার কার্যক্রম চলছে। এই তিন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আলাদা তিনটি মামলা রয়েছে।

ঘুষ গ্রহণের মামলায় নেতানিয়াহু অপরাধী সাব্যস্ত হলে তার ১০ বছরের কারাদণ্ড অথবা বড় অংকের অর্থ জরিমানা করা হতে পারে। এছাড়া প্রতারণা এবং বিশ্বাস ভঙ্গের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

যুদ্ধের অজুহাত তুলে এই বিচার স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। গত দুই মাস ধরে মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত ছিল কিন্তু আদালত তা আর স্থগিত রাখতে রাজি হয়নি। ফলে যুদ্ধের নাম করে বিচার থেকে নিজেকে আড়াল করার যে চেষ্টা নেতানিয়াহু করছিলেন- তা ভেস্তে গেল।

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ১ লাখ ৯৫ হাজার ডলার অর্থ মূল্যের উপহার সামগ্রী গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে যার বিনিময়ে তিনি কিছু ব্যক্তিকে আর্থিক ও ব্যক্তিগত সুবিধা দিয়েছেন। আইনজীবীরা বলছেন, নেতানিয়াহু এই উপহার গ্রহণের নামে মূলত ঘুষ গ্রহণ করেছেন। তবে দুর্নীতিবাজ নেতানিয়াহু কোন ধরনের অন্যায় করেননি বলে দাবি করেছেন।

ইসরাইলের সেনারা গাজায় যে বর্বরতা চালাচ্ছে তা নেতানিয়াহুর নির্দেশেই হচ্ছে। এখন তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করার দাবি উঠেছে খোদ ইসরাইলের ভেতরেই। পার্সটুডে

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.