আবারও ভূমিকম্প নেপালে, কাঁপন লেগেছে চীন ভারতেও

আগের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ফের ভূমিকম্প হয়েছে হিমালয়ের দেশ নেপালে। আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ৪৬ মিনিটে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপেছে নেপাল। আর এর ঝাঁকুনি লেগেছে প্রতিবেশী ভারত এবং চীনেও।

তিন দিনের ব্যবধানে এই ভূমিকম্পে নেপাল জুড়ে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

খবর এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমসের।

মাত্রই তিনদিন আগে গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে নেপালে। এতে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে ২২ অক্টোবর ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঠমান্ডু উপত্যকা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো কেঁপে ওঠে। তবে তাতে বড় কোনো ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

নেপালে ভূমিকম্প সাধারণ ঘটনা। দেশটি তিব্বতীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলোর মিলনস্থলে অবস্থিত। প্রতি শতাব্দীতে এটি অপরের দুই মিটার কাছাকাছি অবস্থান করে, যার ফলে চাপ সৃষ্টি হয় যা ভূমিকম্প হয়।

২০১৫ সালে একটি ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার লোকের মৃত্যু হয় নেপালে। নেপাল বিশ্বের ১১তম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ।

গত শুক্রবারের ভূমিকম্পের পর অসংখ্য ছোট ছোট কম্পন হয়েছে নেপালে। তৃতীয় দিনের মাথায় এসে কম্পন রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে আজ নিয়ে গত তিনদিনে তৃতীয়বারের মতো কেঁপেছে দিল্লী। এর আগে, গত শুক্রবার দিল্লিতে রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। সেদিন নেপাল ছিল কম্পনের উৎস। সেদিন নেপালে ৬.৪ কম্পনের মাত্রা নিয়ে কেঁপে ওঠে বিস্তীর্ণ এলাকা। তাতে নেপালে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।  আহতের অঙ্ক ২৫০ ছাড়িয়েছে। কম্পনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, তা দিল্লি-এনসিআর ছাড়াও ছড়িয়ে পড়েছিল উত্তর প্রদেশ, রাজস্থানের বেশ কিছু অংশে। সেদিন কম্পন অনুভূত হয় পাটনাতেও। শুক্রবারের রাতে কম্পনের জেরে লখনউতে বহু বাড়ি থেকে মানুষ জন বেরিয়ে আসেন। দিল্লিতে দেখা যায়, বহু বাড়িতে রাতে ফ্যান, আলোর শেড দুলতে থাকে। আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন অনেকে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.