যে হাত দিয়ে আগুন দেবে সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি মানেই ধ্বংসের রাজনীতি। ২৮ অক্টোবর পুলিশ যথেষ্ট সহনশীলতা দেখিয়েছে। অথচ তারা কী করল? রাস্তায় পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করল, আওয়ামী লীগ ও মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করল। এটাই কি রাজনীতি? রাজশাহীতে মাটিতে ফেলে পুলিশ হত্যা করেছিল, সেটা স্মরণ রাখা দরকার। আমি ঢাকার মানুষকে বলব, যারা আগুন দিতে আসবে তাদের প্রতিহত করতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দেবে সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর আরামবাগে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালাও-পোড়াও এটাই বিএনপির উৎসব, এটাই তাদের চরিত্র। তাদের আন্দোলন হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন করা, ধ্বংস করা, পুলিশের ওপর হামলা করা। কীভাবে এটা বন্ধ করতে হয় সেটা আমাদের জানা আছে। খালেদা জিয়া বলেছিলেন আমি নাকি প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা দলের প্রধানও হতে পারব না। আজ কে, কোথায় আছে। আমি জনগণের সেবা করতে চাই, দেশের উন্নয়ন করতে চাই। আমি দারিদ্র্য কমিয়ে এনেছি, খালেদার সময় দেশের ৪১ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশ উন্নত হয়, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, জাতির পিতার মতো আমিও নিজেকে দেশের জন্য উৎসর্গ করলাম। বিএনপি দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে, আর আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা আকাশপথে মেট্রোরেলে করেছি, এখন পাতাল রেলের কাজ চলবে। সেটি নিয়েও কাজ চলছে। মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৫ (উত্তর রুট) নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছি। রুটটি হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা হয়ে গাবতলী, মিরপুর-১০, গুলশান পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। ৪১ হাজার ২৩৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, পানির সমস্যা, বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসন করেছি। হাতিরঝিলকে দৃষ্টিনন্দন করেছি। দেশে জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া মিলে ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল। দেশে পানি নাই, রাস্তাঘাট নেই অভাব আর অভাব। এ সময় মানুষ ছিল অন্ধকারে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সামরিক-বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে। সেই জিয়াউর রহমানের দলই বিএনপি। তারা গ্যাস বিক্রির জন্য মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসে। এসে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে। আর আমরা ক্ষমতায় এসে রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রিজ নির্মাণ করেছি। মাংস, ডিম, মাছ, শাক, সবজি উৎপাদন বাড়িয়েছি। সারাদেশে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কমিউনিটি হাসপাতাল করেছি।

শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে মেট্রোরেলের আগারগাঁও টু মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আধুনিক এই নগর গণপরিবহনে চেপে বসেন প্রধানমন্ত্রী। মাত্র ২৫ মিনিটে আগারগাঁও থেকে মতিঝিলে পৌঁছান তিনি। মতিঝিল স্টেশনে নেমে আরামবাগে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় জনসভার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

উল্লেখ্য, মেট্রোরেল চালুর মধ্য দিয়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দূরত্বের পথ মাত্র ৩৮ মিনিটে পার হতে পারবেন যাত্রীরা। এলিভেটেড লাইন হওয়ায় রাজধানীর চিরচেনা যানজটে পড়তে হবে না যাত্রীদের। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথের জন্য ভাড়া গুণতে হবে ১০০ টাকা।

অথসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.