বিদ্যমান পদ্ধতিতে অর্থ বরাদ্দ ও ছাড় চায় ইউজিসি

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এবং দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ স্বতন্ত্র আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিদ্যমান আর্থিক অনুশাসন অনুসরণপূর্বক অর্থ বরাদ্দ এবং অর্থ ছাড় পদ্ধতি চলমান থাকা বাঞ্ছনীয় বলে জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর ।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে পিএল অ্যাকাউন্ট বাস্তবায়ন শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, তবে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে অবশ্যই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের প্রচলিত আর্থিক বিধি বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

প্রফেসর আলমগীর আরও বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেখভালের জন্য ইউজিসি প্রতিষ্ঠা করেন। এসব প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসন ক্ষুন্ন হলে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান অগ্রগতির ধারা ব্যাহত হবে। তাই যেকোন ব্যবস্থা গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানের মূল চরিত্রের সাথে সাংঘর্ষিক কিনা এবং এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো যথাযথভাবে যাচাই করা বাঞ্ছনীয়।

তিনি আরও বলেন, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বতন্ত্র আইন দিয়ে পরিচালিত হয়। অর্থ ব্যয়ে কোন গেটওয়ে বা ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করার ক্ষেত্রে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুসরণের পরামর্শ দেন।

ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান রিমি, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব নূর-ই-আলম বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

স্মার্ট অর্থ-ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে ইউজিসি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস প্লাস প্রোগ্রাম যৌথভাবে ইউজিসি অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করে।

এ কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক ও ইউজিসির বিভাগীয় প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।

 

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.