মুক্ত গণমাধ্যম কিভাবে কাজ করে তার বড় উদাহরণ বাংলাদেশ: তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের গত ১৫ বছরের পথচলায় বাংলাদেশে গণমাধ্যমের উল্লেখযোগ্য বিকাশ ঘটেছে, অনলাইন পোর্টাল যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। মুক্ত গণমাধ্যম কিভাবে কাজ করে তার বড় উদাহরণ বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকারে আসি তখন খবরের কাগজ ছিলো ৪০০ টি এখন পত্রিকার সংখ্যা ১২৬০ টি। স্যাটেলাইট ভিত্তিক চ্যানেল ছিলো ১০ টি যা এখন ৩৫ টি। আরও বেশ কয়েকটি আসবে। অনলাইন পোর্টালের সংখ্যা অগণিত। এখন পর্যন্ত ৫ হাজার দরখাস্ত জমা হয়েছে নিবন্ধনের জন্য৷ সরকারের গণমাধ্যম বান্ধব মনোভাবের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।

বুধবার (০৪ অক্টোবর) ঢাকা ক্লাবে নতুন ইংরেজি দৈনিক ‘দ্যা ডেইলি পিপলস লাইফের’ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতেও বাংলাদেশের মতো এতো গণমাধ্যম নেই। সিংগাপুরের মতো দেশেও সরকার নিয়ন্ত্রিত কিছু পত্রিকা। আমাদের দেশে গণমাধ্যম অনেক মুক্তভাবে কাজ করছে।

ড. হাসান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম মুক্ত, আপনারা দেশের এবং সরকারে ইতিবাচক-নেতিবাচক সকল দিক তুলে ধরবেন। কিন্তু মুক্ত গণমাধ্যম কতোটা দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করছে তাও খেয়াল রাখতে হবে। গণমাধ্যমের বিরাট ভূমিকা রয়েছে রাষ্ট্র পরিচালনায়, সমাজ পরিচালনায়৷ মুক্ত গণমাধ্যমের পাশাপাশি আমাদের সম্মিলিতভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে দায়িত্বশীলতা নিয়ে কাজ করতে হবে।

হাসান মাহমুদ আরও বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করাই আমাদের স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া৷ আর সেই অগ্রযাত্রায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে গণমাধ্যম। খুব সচেতনভাবে কিছু পত্রিকা সরকারের ইতিবাচক অগ্রগতিগুলো এড়িয়ে যায়। তারা দেশের কোনো খাত ভালো করলে তার অগ্রগতির কথা তুলে ধরে। কিন্তু সেই সাফল্যের পেছনে যে সরকারের ভূমিকা ছিলো তা তুলে ধরে না।

এসময় তিনি নতুন এই ইংরেজি দৈনিকের সাথে সংপৃক্ত সকলকে শুভকামনা এবং অভিনন্দন জানান।

দ্যা ডেইলি’র পিপলস লাইফ পত্রিকার সম্পাদক মো. আজিজুল ইসলাম ভুইঁয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর এএসএম মাকসুদ কামাল, ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, শামসুল মমিন চৌধুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও কবি জাফর ওয়াজেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিজি এস এম গোলাম কিবরিয়া, তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার শাহিনুর মিয়া, সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়েস, ড. জুবায়ের আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আব্দুল আওয়াল শামীম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান জয়নুল বারী’সহ আরও অনেকে।

অর্থসূচক/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.