ভারতের নুহয়ের পর এবার হরিয়ানার গুরগাঁওয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। দিল্লি থেকে সামান্য দূরে হরিয়ানার গুরগাঁয়ে ৬৯-এ সেক্টরে এই ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত সপ্তাহান্তে তাদের মহল্লায় অন্তত ১০টি পোস্টার পাওয়া গেছে। যেখানে লেখা প্রাণে বাঁচতে হলে দুই দিনের মধ্যে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে।
মুসলিম অধ্যুষিত ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা স্বাভাবিকভাবেই ওই পোস্টার দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। স্থানীয় পুলিশকে খবর দিলে প্রশাসন এসে ওই পোস্টারগুলি খুলে নিয়ে যায়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মামলা দায়ের হয়েছে। কিন্তু কারা একাজ করেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
পোস্টার লাগানোর ঘটনা ওই অঞ্চলে এই প্রথম নয়। স্থানীয় নারীদের অসম্মান করে এর আগেও ওখানে পোস্টার পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নুহের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকাতেও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে একটি মাজারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার কয়েকদিনের মধ্যেই ওখানে নারীদের নামে পোস্টার দেওয়া হয়।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় এক নারী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘কারা একাজ করছে, পুলিশ তা জানে। কিন্তু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টে আমাদেরই হেনস্থা করা হচ্ছে।’
পুলিশের সহকারী কমিশনার মনোজ কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই পোস্টারগুলি আমরা সরিয়ে দিয়েছি।’ একইসঙ্গে ওই পুলিশ অফিসারের বক্তব্য, ওই জমিতে যারা আছেন, তারা বেআইনিভাবে আছেন। তবে সরাসরি তাদের তুলে দেওয়ার কথা বলেননি মনোজ।
ওই মহল্লায় যারা বসবাস করেন, তাদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ। আশপাশের বাড়িতে কাজ করে তারা দিন গুজরান করেন। সংবাদমাধ্যমকে তারা জানিয়েছেন, সকালে বাড়ির বড়রা বেরিয়ে যান কাজে। ছোটরা স্কুল থেকে ফিরে একাই থাকে। সে সময় কিছু ঘটে যেতে পারে, এমন আশঙ্কা তাদের আছে। বিশেষ করে শিশু এবং কিশোরী মেয়েদের নিয়ে তাদের সবচেয়ে বেশি চিন্তা। কারণ, তাদের নিয়েই ওই পোস্টারগুলি পড়েছিল। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এনডিটিভি
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.