১৯ অপরাধে ৩৩ বছরের দণ্ড হওয়া মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী অং সান সু চিকে পাঁচটি ফৌজদারি মামলায় ক্ষমা ঘোষণা করেছে জান্তা সরকার। এ ছাড়া দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকেও সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। ২১-এর অভ্যুত্থানে সু চির পরপরই তিনি গ্রেফতার হন।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জাও মিন তুন ইলেভেন মিডিয়া গ্রুপকে বলেছেন, ক্ষমার অর্থ হবে তার ছয় বছরের কারাদণ্ডের মেয়াদ কমানো।
শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সুচিকে গত সপ্তাহে কারাগার থেকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। রাজধানী নেপিদোর একটি সরকারি বাসভবনে নেওয়া হয়। ২০২১ সালের গোড়ার দিকে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সু চি সহ তার দলের অনেক নেতা ও বহু মানুষকে আটক করে জান্তা সরকার। ক্ষমতা দখলে নিয়ে জরুরি অবস্থা জারি রেখেছে জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং।
সুচির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, ওয়াকি-টকি, নির্বাচনে কারচুপিসহ অনেক অভিযোগে মামলা রয়েছে। কয়েকটিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ৭৮ বছর বয়সী এই নোবেলজয়ী।
জান্তা মুখপাত্র বলেন, সু চি গৃহবন্দি অবস্থাতেই থাকবেন।
তার শাসনামলে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নকে সমর্থন জানিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হন। এমনকি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগের মামলায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন তিনি।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বন্দি আছেন তিনি।
অর্থসূচক/এএইচআর
 
			
 
						

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.