আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৫৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১ বল হাতে রেখে শ্বাসরুদ্ধকর জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। যদিও শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে করিম জানাত হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশের জয় কঠিন করে দিয়েছিলেন। শেষ ৬ বলে মূলত দরকার ছিল ৬ রান। হাতে ৫ উইকেট। এমন অবস্থায় মেহেদী হাসান মিরাজ মিড উইকেট দিয়ে দারুণ একটি চার মেরে সমীকরণ নামিয়ে আনেন ৫ বলে ২ রানে। এরপরই ঘটে বিপত্তি।
করিম জানাতের বলে মিড উইকেটে মিরাজ ক্যাচ দেন মোহাম্মদ নবিকে। পরের দুই বলে তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদকে আউট করে হ্যাটট্রিক তুলে নেন জানাত। বাংলাদেশ পড়ে যায় ২ বলে ২ রানের সমীকরণে। পঞ্চম বলে নতুন ব্যাটার শরিফুল ইসলাম সুইপার কাভার দিয়ে চার মারেন জানাতের লেংথ ডেলিভারিতে। ফলে ২ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।
শরিফুল জানিয়েছেন, ‘১ ওভারে যখন ৬ রান লাগে মিরাজ ভাই যখন চার মারল তখন আমি প্রায় নিশ্চিত ছিলাম যে আমরা জিতে যাবো। আমি, মুস্তাফিজ ভাই, নাসুম ভাই রিল্যাক্স ছিলাম। প্যাডও খুলে ফেলেছিলাম। যখন দেখলাম যে মিরাজ ভাই আউট হলো ধীরে ধীরে প্যাড পড়তে শুরু করলাম।’
সেই সময়ের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে শরিফুল বলেন, ‘তাসকিন ভাই নামল তারপর আমি নিচে গেলাম। নাসুম ভাই নামল তিনিও আউট হয়ে গেল। আমি যাচ্ছিলাম কোচ আমাকে বলল ‘তুমি পারবে। শুধু ব্যাটে-বলের সাথে কানেক্ট করবে। তাহলে সহজ হয়ে যাবে।’ যখন আমি মাঠে নেমেছি হৃদয় বলছিল ‘এটা কোনো বিষয়ই না, চাপ না। এটা হবে, না লাগলেও তুমি দৌড় দিবা। তুমি পারবা।’ আমি বলি, বিশ্বাস রাখো আমি পারবো। পড়ে আল্লাহর রহমতে হয়ে গেছে।’
হৃদয়ের সঙ্গে সেই অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকেই সখ্যতা শরিফুলের। এমনকি শামীম পাটোয়ারির সঙ্গেও যুব দল থেকে খেলেছেন। তিনজনই ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য। এখন সিনিয়র টিমে এক সঙ্গে খেলতে পেরে দারুণ আনন্দিত শরিফুল। তিনি বলেন, ‘খুব ভালো লাগে যখন সাকিব ভাইদের মতো, মুশফিক ভাইদের মতো, তাসকিন ভাইদের মতো খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমরা খেলি, অনূর্ধ্ব-১৯ খেলে আসার পর গর্ববোধ করতাম। এখন আমরা তিনজন আছি এ টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে, আমরা কথা বলি উনাদের সঙ্গে অনেকটা বন্ধুর মতো। আমাদের উনারা এতটা কাছের করে নিয়েছেন যাতে করে সহজ মনে হয়, এ কারণে মাঠে এত প্রভাব পড়ে না। তো উনাদের সঙ্গে মেলামেশা করায় মাঠের কাজটা অনেকটা সহজ হয়ে গেছে।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.