বিএনপি গুজব ও ষড়যন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত: ওবায়দুল কাদের

বিএনপিসহ তাদের সমমনা দলগুলো ক্রমশ নির্বাচনী অঙ্গনকে সংঘাতময় করে তোলার চক্রান্ত করছে। তারা গুজব ও ষড়যন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গুজবে, গুঞ্জনে, ষড়যন্ত্রে আজকে নির্বাচনী অঙ্গন ক্রমশ সংঘাতময় করে তোলার চক্রান্ত চলছে। তারা সংঘাতের উসকানি দিচ্ছে, দিয়েছে। এই মুহূর্তে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো ভোটারদের কাছে যাচ্ছে না, তারা যাচ্ছে বিদেশিদের কাছে কখন কোন প্রতিনিধি আসে, বাংলাদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা দিবে, ভিসানীতি দিবে-এমন স্বপ্নে নালিশের মধ্য তারা নিমগ্ন। তাদের নালিশটা জনগণের কাছে নয়, বিদেশিদের কাছে। বিদেশিরা আমাদের বন্ধু। এখানে প্রভুত্বের কিছুনেই। বিএনপির বিদেশে অনেক প্রভু আছে। প্রভুদের কাছে নালিশ করে, বন্ধুদের কাছে নয়।

বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন (আরপিও) সংশোধন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আরপিও সংশোধন যুক্তিসংগত। বিশৃঙ্খলা হলে ১/২ টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল হতে পারে, গোটা নির্বাচন কেন বাতিল হবে? এই আইনে এটা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও একই অবস্থা। বাংলাদেশে কেন ভিন্নরকম চালু করতে হবে?

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, বিদেশি বন্ধুরা বন্ধুর মতো থাকুন। বিএনপি ক্ষমতার জন্য পাগল হয়ে গেছে। যেভাবেই হোক ক্ষমতা পেতে হবে। আওয়ামী লীগ হারলেই কেবল বিএনপির দৃষ্টিতে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নির্বাচন মানেই বিশৃঙ্খলা, জাল ভোট, ভোট কেন্দ্র দখল, এসব অপপ্রচারগুলো বাস্তবে সদ্য অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এর প্রতিফলন ঘটেনি। সেদিক থেকে বাংলাদেশে নির্বাচন ঘিরে আশার আলো দেখতে পাই। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন ও গণতান্ত্রিক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেটার বড় প্রমাণ আইন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন। নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে যারা প্রশ্ন করেন, গুজব ছড়ান, ষড়যন্ত্র করেন তাদের এ বাস্তবতা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের নির্বাচন, নির্বাচনি ব্যবস্থার প্রতি নজরে রাখা দরকার।

তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেভাবে হয়েছে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ও অবাধ। আগামী জাতীয় নির্বাচনও এভাবে সম্পন্ন হবে। এখানে সরকার কোন হস্তক্ষেপ করবে না। শেখ হাসিনার সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে যারা অপপ্রচার চালিয়েছে, তাদের অপপ্রচার একেবারেই সত্য নয়। বিএনপি নির্বাচনে না এলেও অন্যান্য দল, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণে ভোটার উপস্থিত ভালো ছিল। অনেকে অপপ্রচার করেছে যে, ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ নেই। নির্বাচন মানেই বিশৃঙ্খলা, জাল ভোট, এসব অপপ্রচার চালানো হয়; যা বাস্তবে ঘটেনি। সেদিক থেকে আমরা বাংলাদেশের নির্বাচনের আশার আলো দেখতে পাই।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.