খেজুরে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব

আসন্ন বাজেটে সব ধরনের খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া পণ্যটিতে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট বক্তব্যে খেজুর আমদানিতে শুল্ক ও মূসক আরোপ করার কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, আমদানি পর্যায়ে বর্তমানে তাজা ও শুকনো খেজুরের ওপর আরোপিত মোট করভারে পার্থক্য রয়েছে। তাই সব ধরনের খেজুরের আমদানি পর্যায়ে সর্বমোট করভার বৃদ্ধিপূর্বক শুল্ক-কর সমতা বিধানের প্রস্তাব করছি। উভয় ধরনের খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ এবং ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ঠিক করা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ।

স্বাধীনতা-পরবর্তী ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে ১৯৭২ সালের ৩০ জুন প্রথম বাজেট পেশ হয়। তখন মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ। তিনি ওই দিন একই সঙ্গে ১৯৭১-৭২ ও ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর, অর্থাৎ দুই অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। এরপর আরও দুবার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ, সেটি সবশেষ দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকার।

স্বাধীনাতার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ১৩ জন অর্থমন্ত্রী বাজেট ঘোষণা করেছেন। এরমধ্যে মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার বাজেট দিয়েছেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও এম সাইফুর রহমান। দুজনেই ১২টি বাজেট উত্থাপন করেছেন। তবে আবুল মাল আবদুল মুহিতই আওয়ামী লীগের হয়ে টানা ১০ বার বাজেট পেশ করেছেন। তিনি প্রথম বাজেট দেন ১৯৮২-৮৩ সালে, এরশাদের শাসনামলে। সেটার আকার ছিল ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। আর সবশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তার বাজেটের আকার ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার।

অর্থসূচক/এমএইচ

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.