গত তিন দিন ধরে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রবল সংঘর্ষ চলছে। মিশর মধ্যস্থতা করে এই সংঘর্ষে ইতি টানার চেষ্টা করেছিল। দুই পক্ষ যাতে সংঘর্ষ ও অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়, তার চেষ্টা করেছিল। অতীতে তারা সফল হলেও এবার মিশর জানিয়েছে, তাদের চেষ্টা সফল হয়নি।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার ইসরায়েল যে বিমান হামলা করেছিল, তাতে তিনজন নারী, ছয়টি শিশু, ইসলামিক জিহাদের রকেট বাহিনীর প্রধান ও তার সহকারী-সহ ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘আমরা অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করে রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যে দিয়ে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করেছিলাম। এখনো পর্যন্ত তাতে সফল হইনি।’
এদিকে গাজার আবাসিক এলাকাগুলোতে ইসরাইলি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইলের গভীরে রকেট হামলা চালানোর প্রত্যয় জানিয়েছে ইসলামি জিহাদ। গত চারদিন ধরে অনবরত গাজার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরাইল। এর প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো ইসরাইলের বিভিন্ন শহর ও বসতি লক্ষ্য করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
ইসরাইলি সেনারা জানিয়েছে, এ পর্যন্ত গাজা থেকে প্রায় ১ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে। শুক্রবার গাজা থেকে চলতি সংঘাতে প্রথমবারের মতো জেরুজালেম লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করা হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু একটি বিমানক্ষেত্র পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে তার রেকর্ড করা ভাষণ প্রচার করা হয়েছে। নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘ইসরায়েল প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ দুটোই করছে। কেউ যদি আমাদের ক্ষতি করে, তাহলে আমরা তাদের রক্ত নেব।’
ইসলামিক জিহাদ জানিয়েছে, শান্তির ক্ষেত্রে প্রধান শর্ত হলো, ইসরায়েলকে তাদের নেতাদের হত্য়া করা বন্ধ করতে হবে।
ইসরায়েল মনে করছে, ইসলামিক জিহাদের কমান্ডাররা যদি মারা যায় এবং তাদের রকেটের ভাণ্ডার কমে যায়, তাহলে আর তারা আক্রমণ করতে পারবে না। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পার্সটুডে, এপি, এএফপি, রয়টার্স
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.