একটা সময় আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতেন ডেভিড ওয়ার্নার। অথচ সময়ের ব্যবধানে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে ধার কমেছে। নিয়মিত রান করছেন তবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রশ্ন উঠছে তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে।
ঋষভ পান্ত খেলতে না পারায় দিল্লি ক্যাপিটালসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওয়ার্নার। তবে অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনারের অধীনে একেবারেই ভালো করছে না সবশেষ চার আসরে তিনবার প্লে অফ খেলা দিল্লি। ৮ ম্যাচের ছয়টিতে হেরে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে তারা। সবশেষ ম্যাচে তারা হেরেছে টেবিলের শেষের দিকে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে। ১৯৮ রান তাড়ায় মিচেল মার্শ ও ফিল সল্টের হাফ সেঞ্চুরির পরও ১৮৮ রানে থামে তারা। ৯ রানের হারের দিনে শূন্য রানেই আউট হয়েছেন ওয়ার্নার। যদিও আইপিএলের শুরু থেকেই নিয়মিত রান পাচ্ছেন তিনি। আইপিএল মানেই যেন ওয়ার্নারের ব্যাটে রান। টানা ছয় আসরে ৫০০ করা একমাত্র ব্যাটারও তিনি।
এবারে আসরের ৮ ম্যাচে তিন হাফ সেঞ্চুরিতে ৩০৬ রান করেছেন দিল্লির অধিনায়ক। যেখানে তার স্ট্রাইক রেট মাত্র ১১৮.৬০। টুর্নামেন্টের এবারের মৌসুমে ৩০০ বা তার চেয়ে বেশি রান করেছেন ব্যাটারদের মাঝে স্ট্রাইক রেটে বেশ পিছিয়ে। যেখানে তালিকার পাঁচে থাকা ডেভন কনওয়ে রান করেছেন ১৩৭ স্ট্রাইক রেটে। ২০০ বা তার চেয়ে বেশি রান করেছেন এমন ব্যাটারদের মাঝে ওয়ার্নারের চেয়ে কম স্ট্রাইক রেট আছে কেবল লোকেশ রাহুলের (১১৪.৬৪)। বাকি সবার স্ট্রাইক রেট ১৪০ এর উপরে। যে কারণে প্রশ্নটা বেশি উঠছে।
নিজেরে ইউটিউব চ্যানেলে হরভজন সিং বলেন, ‘আমার মনে হয় না দিল্লি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, এর কারণ তাদের অধিনায়ক। দলকে ভালোভাবে নেতৃত্ব দিতে পারছে না, সঙ্গে তার ফর্মও একটা ব্যাপার। ওয়ার্নার হায়দরাবাদের বিপক্ষে দ্রুত আউট হয়েছে বলে দিল্লি এত কাছে পৌঁছাতে পেরেছিল। যদি ওয়ার্নার ৫০ বল খেলত, তাহলে ৫০ বলই নষ্ট হতো, দিল্লিও ৫০ রানে হারত। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সে সব সময় অন্যের ভুল নিয়ে কথা বলে। কিন্তু তুমি কী করেছ? ৩০০–এর বেশি রান করেছ, কিন্তু নিজের স্ট্রাইক রেটের দিকে একবার তাকাও। ওই ৩০০ রান দিল্লির কোনো কাজে আসেনি। দিল্লি কেন পয়েন্ট তালিকার সবার শেষে-এই কারণ খুঁজতে গেলে ওয়ার্নারকে আয়নার সামনে দাঁড়াতে হবে।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.