সৌদি আরব ও মধ্য প্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শেরপুরের ৯টি গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে পৃথক স্থানে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এসব জামায়াতে পুরুষদের পাশাপাশি নারী মুসল্লিরাও ঈদের নামাজ আদায় করেন।
শেরপুর সদরের উত্তর ও দক্ষিণ চরখারচর, মুন্সীরচর, বামনারচর, ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও চতল, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী মধ্যপাড়া ও চিনামারা, নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দীসহ ৯টি স্থানে পৃথকভাবে ঈদুল ফিতরের জামাত হয়েছে।
প্রত্যেকটি জামাতে দেড় থেকে দু শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন। সকাল ৮টায় ঈদের নামাজের বড় জামাত দুটি অনুষ্ঠিত হয় বনগাঁও ও নন্নী মধ্যপাড়ায়।
নকলা উপজেলার এক মুসল্লি বলেন, ‘আজ এটা নতুন নয়, খুবই স্বাভাবিক বিষয়। আমরা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ করি। নামাজ আদায় শেষে আমরা যার যার মতো ঘোরাফেরা করি। আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের বাড়িতে যাই, তারাও আসে আমাদের বাড়িতে।’
নামাজ পড়তে আসা আরেকজন বলেন, ‘আমরা প্রতি বছরই পালন করে থাকি। আগে তাও কম কম মানুষ জামাতে অংশ নিতেন। এখন দিন দিন তা বাড়ছে। নামাজ শেষে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যাই, তারা আমাদের বাড়িতে আসে। সারাদিন আমরা অনেক আনন্দ করি।’
সাধারণ মুসল্লিরা জানান, গত কয়েক বছর ধরে শেরপুরের এসব এলাকায় নিজেদের সুরেশ্বর দরবার শরিফের ভক্ত বলে দাবিদার কিছু লোক সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে ঈদুল ফিতর পালন করে আসছে।
অর্থসূচক/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.