কুরাসাওয়ের সঙ্গে আর্জেন্টিনা জিতবে, এটা সবার প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ কুরাসাওকে চিনতো এমন মানুষ ছিল কমই। মেসিদের জয় নিয়ে তাই কারও ভাবনা ছিল না। বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ দেশের মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিতে আর্জেন্টিনায় দুটো প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করে আকাশি-নীলরা। এর মধ্যে শেষ ম্যাচে কুরাসাওয়ের বিপক্ষে আজ খেলতে নামে তারা।
বুধবার (২৯ মার্চ) বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় স্তাদিও ইউনিকো মাদ্রে দে সিয়ুদাদসে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। এদিন দেশের জার্সিতে মেসির নবম হ্যাটট্টিকে কুরাসাওকে ৭-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা।
এই ম্যাচে তারকা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি করেছেন হ্যাটট্রিক। ম্যাচের ২০ থেকে ৩৭ মিনিট এই ১৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার এই বিশাল জয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মেসি। এছাড়া আরেকটি গোলে অবদানও রাখেন। প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার হয়ে আরও গোল করেন নিকোলাস গঞ্জালেজ ও এঞ্জো ফার্নান্দেজ।
দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে গোলের দেখা পান দি মারিয়া। শেষদিকে গঞ্জালো মন্তিয়েল আরেকটি গোল করেন। ম্যাচে ৬০ শতাংশ সময় বল দখলে ছিল আর্জেন্টিনার। গোল পোস্ট বরাবর ২৭টি শর্ট নেয় মেসির দল। খেলার ছয় মিনিটেই মেসি কাঙ্ক্ষিত শততম গোলের রেকর্ড ছূঁয়ে ফেলেন।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে থাকা আর্জেন্টিনা ৮৬ নম্বর র্যাঙ্কিংয়ে থাকা কুরাকাও এর প্রতি আক্রমণের পর আক্রমণ গড়ে তোলে। চার মিনিটের ব্যবধানে আরও তিনটি শর্ট নেয় গোল পোস্টে। ৩৩তম মিনিটে গঞ্জালেজের পাসে বাঁ পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান। ৩৭তম মিনিটে বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে হ্যাটট্রিক করেন। ৭৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল দেন দি মারিয়া। ৮৭তম মিনিটে দিবালার পাসে সপ্তম গোলটি করেন মন্তিয়েল।
প্রসঙ্গত, দ্বীপদেশ কুরাকাওয়ের আয়তন মাত্র ২৭৬ বর্গমাইল। জনসংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজার। অবশ্য কুরাকাওর ফুটবল ঐতিহ্য খুব সমৃদ্ধ না হলেও বেশ পুরনো। ১৯২৪ সালে ফুটবল শুরু দেশটিতে। আধুনিক ফুটবলে প্রবেশ করে ২০১১ সালে। ওই বছরই ফিফার পূর্ণ সদস্যপদ পায় কুরাকাও। কুরাকাওয়ের সবচেয়ে বড় সাফল্য ২০১৭ সালে ক্যারিবিয়ান কাপের চ্যাম্পিয়ন হওয়া। এছাড়া ২০১৯ সালে কনকাকাফ নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল কুরাকাও। মেসিদের এই প্রতিপক্ষ কাতার বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.