মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে ইরানের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সোমবার ব্রাসেলসে বৈঠকে বসেছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা। সেখানেই ঠিক হয়, ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারণ, গত কয়েকমাস ধরে সেখানে মানবাধিকার বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রশাসন আন্দোলনকারীদের উপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে ইইউ।
ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদাধিকারী এবং প্রশাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। পাশাপাশি এক প্রভাবশালী ইমামের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মেয়েদের পোশাক এবং পড়াশোনা নিয়ে তিনি বহু কথা বলেছেন। এছাড়াও একজন ইসলাম বিশেষজ্ঞ এবং তিনজন বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে ২২ বছরের কুর্দি নারী জিনা আমিনি নিহত হন। পুলিশের হেফাজতে তার মৃত্যু হওয়ার পরেই গোটা ইরানজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। হাজার হাজার নারী রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে থাকেন। বহু মানুষ সরাসরি সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেন। হাজার হাজার প্রতিবাদকারীকে জেলে ঢোকানো হয়েছে। তাদের উপর অত্যাচার চালানো হয়েছে। এরই প্রতিবাদে নতুন নিষেধাজ্ঞা বলে জানিয়েছে ইইউ।
বস্তুত, জাতিসংঘ নিয়োজিত এক অফিসারের বক্তব্য, ইরান যা করেছে এবং করছে, তা অপরাধ বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। ইরানের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন ওই ব্যক্তি।
এদিন ব্রাসেলসের বৈঠকে ন্যাটোয় সুইডেনের সদস্যপদ পাওয়া নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। ন্যাটো প্রধান জেমস স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, ফিনল্যান্ড নিয়ে অনেকটাই সুর নরম করেছে তুরস্ক। কিন্তু সুইডেনকে তারা এখনো সদস্যপদ দিতে রাজি নয়। কিন্তু সুইডেনের ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ফলে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সূত্র: রয়টার্স, এপি, এএফপি
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.